রেহাই নেই পুলিশকর্তাদেরও, প্রতারকদের নিশানায় এবার মালদহের পুলিশ সুপার

দ্বৈপায়ন লালা, মালদহ:  ফেসবুকে ভুয়ো প্রোফাইল খুলে টাকা আদায়ের চেষ্টা! ফের সাইবার প্রতারকদের নিশানায় পুলিশ সুপার। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পাল্টা পোস্ট দিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন তিনি। এবার ঘটনাস্থল মালদহ।

করোনার আতঙ্ক, লকডাউনের জেরে চাকরি হারিয়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার অর্ধেক বেতন পাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের হাতে এখন তেমন টাকা নেই। সেকারণেই কি পুলিশকর্তাদের টার্গেট করছে সাইবার প্রতারকরা? মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়ার নামে ভুয়ো প্রোফাইল খোলা হয়েছে ফেসবুকে। সেই প্রোফাইল থেকে বিভিন্ন লোকের কাছে ফ্রেন্ড রিকোয়েন্ট পাঠাচ্ছে প্রতারকরা। আর যাঁরা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টে সাড়া দিচ্ছেন, তাঁদের কাছ থেকে নানা অছিলায় টাকা চাওয়া হচ্ছে! এক বন্ধুর কাছ থেকে বিষয়টি যখন জানতে পারেন, তখন আর দেরি করেননি পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। নিজের আসল প্রোফাইলে পোস্ট দিয়ে বন্ধুদের সতর্ক করেছেন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে মালদহ জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

উল্লেখ্য, মাস খানেক আগে যখন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তখন প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছিলেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমারও। তাঁর নাম ও ছবি ব্য়বহার করেও একই কায়দায় ভুয়ো প্রোফাইল খোলা হয় ফেসবুকে। সেই প্রোফাইল থেকে পোস্ট দিয়েও যথারীতি করোনা চিকিৎসার জন্য টাকা চাওয়া হচ্ছিল! বস্তুত, মালদহের এক ডেপুটি পুলিশ সুপার, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমুণ্ডি থানার আইসি-সহ আরও বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীদের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে।