সংক্ষিপ্ত
স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে আরও একটি নতুন মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারী এক চাকরি প্রার্থী।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে আরও একটি নতুন মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারী এক চাকরি প্রার্থী। মালদা শহরের ইংরেজবাজার পৌরসভা এলাকার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গাবাগের বাসিন্দা অঙ্কন দত্ত ২০১০ সালে এসএসসির ক্লারিকেল নিয়োগের পরীক্ষায় ওবিসি কোটায় ফর্ম ফিলাপ করেন। সেই বছরই প্রিলিমিনারি ও ২০১১ সালে ফাইনাল পরীক্ষাও দেন। তবে সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়নি।
পরীক্ষার ফল কি হলো তা জানতে দীর্ঘ দিন পরে তিনি তথ্যের অধিকারের দ্বারস্থ হন। তারই মাধ্যমে আবেদন জানান। একটি আরটিআই করেন। সেই অনুযাযী স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে জবাব দেওয়া হয় তাঁকে। চাকরি প্রার্থী অঙ্কন দত্ত জানিয়েছেন, আরটিআই অনুযায়ী তিনি জানতে পারেন, ওই বছর ওবিসি পদে কোনও শূন্যপদ ছিল না। এই পর্যন্তই জানায় এসএসসি।
এখন প্রশ্ন যদি কোন শূন্যপদ নাই থাকে ওবিসি পদে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞপ্তি কেন জারি করা হল না। তাঁর দ্বিতীয় প্রশ্ন কেন ফর্ম ফিলাপ করানো হল আর কেনই বা দুই বার (প্রিলিমিনারি ও মেইন) পরীক্ষা নেওয়া হল। এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে কিছুটা বাধ্য হয়েই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলেও আদালত সূত্রের খবর।
বিজেপির দক্ষিণ মালদার সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন এই চাকুরিটিও মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে সেই কারণেই রাতারাতি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওবিসি পদে কোন ভেকেন্সি নেই। তবে তৃণমূলের মালদা জেলার মুখপাত্র শুভময় পশু বলেন টেকনিক্যাল কারণে হয়তো কোন ভুল হয়েছে । এই সমস্যার সমাধান হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। এরই মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা নিয়ে জর্জরিত ওই চাকরি প্রার্থীর পরিবার কার্যত মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন।
বর্তমানে স্কুল শিক্ষক নিয়োগসহ একাধিক ক্ষেত্রে অর্থের বিনিময় চাকরি দেওয়া হয়েছে তার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যজুড়ে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ট বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। এনফের্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযোগ পার্থবাবুর টাকাই উদ্ধার হয়েছে অর্পিতার বাড়ি বা ফ্ল্যাট থেকে। যাইহোক এই বিষয় কলকাতা আদালতে যেমন মামলা চলছে তেমনই আদালতের তত্ত্বাবধানে চলছে তদন্তও। আগামী দিনে আরও বড় ঘটনা সামনে আসতে পারে বলেও মনে করছে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।