সংক্ষিপ্ত

  • উপনির্বাচন ঘিরে জুয়ার আসর
  • বিজেপি-র নামে লক্ষ লক্ষ টাকার বাজি
  • খড়্গপুরে হেরে যায় বিজেপি
  • মোটা টাকা খোয়া যায় অনেকেরই
     

বিধানসভার পরে লোকসভাতেও বিজেপি-র একচেটিয়া দাপট। আর তা দেখেই নিশ্চিন্ত মনে খড়্গপুর সদর কেন্দ্রে বিজেপি-র জয়ের উপরেই বাজি রেখেছিলেন জুয়াড়িরা। কিন্তু ভোটের ফল বেরোতেই তাদের মাথায় হাত। বিজেপি-কে টেক্কা দিয়ে খড়্গপুর সদর কেন্দ্র ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল।

স্থানীয় সূত্রে খবর উপনির্বাচনকে ঘিরে গোটা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই লাখ লাখ টাকার বেটিংয়ের আসর বসেছিল। সেখানে যাঁরা মোটা টাকা লাগিয়েছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই বিজেপি-র উপরে বাজি ধরেছিলেন। কারণ ২০১৬ সালে ওই কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হন দিলীপবাবু। এর পর চলতি বছরে লোকসভা নির্বাচনেও ওই কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল বিজেপি। ফলে টাকা লাগানোর আগে দু'বার ভাবেননি অনেকেই। কিন্তু সেই পদ্ম কাঁটার খোঁচাই খেতে হয় জুয়াড়িদের। 

ভোটের ফল বেরনোর আগে বুধবার সারা দিন ধরেই জেলার খড়্গপুর, বেলদা, গোয়ালতোড়, গড়বেতা- সহ বিভিন্ন এলাকায় লক্ষ লক্ষ টাকার বেটিং চলে। পাঁচ-দশ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজারেরও বেশি বাজি ধরা হয়েছিল। চক্রের সঙ্গে জড়িত  এক ব্যবসায়ী বলেন, 'ছোটখাটো ব্যবসায়ীরাই তৃণমূলের উপরে টাকা বাজি ধরেছিলেন। তবে বড় ব্যবসায়ীরা মূলত বিজেপি-র উপরে ভরসা রেখেছিলেন। তাঁরাই বেশি ডুবেছেন।'

অন্যদিকে দলের এই খারাপ ফলের কারণ কী হতে পারে, তা নিয়ে জেলা নেতৃত্বের মধ্যে কারণ খোঁজা শুরু হয়ে গিয়েছে৷  বিজেপির জেলা সভাপতি সমিত দাস বলেন, 'প্রাথমিক ভাবে অনেক কারণই ধরা পড়েছে ৷ তৃণমূল মোটা টাকা ছড়িয়ে ভোট প্রক্রিয়া প্রভাবিত করেছে ৷ তারপর রয়েছে আমাদের কিছু ভুল ৷ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসব ৷ বুথ স্তর থেকে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে ৷ খুব শীঘ্রই আমরা কর্মীদের সঙ্গে ফলাফল নিয়ে আলোচনা করব।'