সংক্ষিপ্ত
- ডেঙ্গু জ্বর সন্দেহে নার্সিংহোমে বাম কাউন্সিলর
- প্রতিপক্ষকে দেখতে গেলেন তৃণমূলের মন্ত্রী গৌতম দেব
- রাজনৈতিক সৌজন্য়ের সাক্ষী থাকল শিলিগুড়ি
- রাজনৈতিক মাস্টারস্ট্রোক বলছেন বিশেষজ্ঞরা
ডেঙ্গু জ্বর সন্দেহে শিলিগুড়ির বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছেন বাম কাউন্সিলর। প্রতিপক্ষকে দেখতে গেলেন তৃণমূলের মন্ত্রী গৌতম দেব। রাজনৈতিক সৌজন্য়ের সাক্ষী থাকল শিলিগুড়ি।
আন্দামানে গিয়ে অজানা জ্বরে আক্রান্ত হন শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী হাজরা। ঘরে ফিরেই বার বার জ্বর আসায় হাসপাতালে ভর্তির কথা বলেন চিকিৎসকরা। ডাক্তারদের কথা মেনে শিলিগুড়ির খালপাড়ায় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ২৬ অক্টোবর ভর্তি হন তিনি। শরীর স্বাভাবিক না হওয়ায় সেই থেকেই নার্সিংহোমে। খবর জানতে পরে বুধবার সন্ধ্যায় মৌসুমী হাজরাকে দেখতে গেলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।
কাশ্মীর হত্যাকাণ্ডে ফিরহাদের নিশানায় মোদী
মৌসুমী দেবীকে দেখার পাশাপাশি তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন গৌতমবাবু। একই সঙ্গে তার অসুস্থতা নিয়ে কথা বলেন চিকিৎসকদের সাথে। এরপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিলিগুড়িতে ডেঙ্গুর জন্য পৌরনিগমের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন। মন্ত্রীর অভিযোগ, পুরনিগমকে টাকা দেওয়া সত্ত্বেও সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারছে না তারা। পাশাপাশি মেয়রকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শিলিগুড়িতে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সময় মেয়র ও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি চিনে ভ্রমণ করছেন। যদিও তৃণমূল নেতার এই অভিযোগ খারিজ করেন শিলিগুড়ির মেয়র পরিষদ শংকর ঘোষ। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার ডেঙ্গু মোকাবিলার জন্য যেই টাকা বরাদ্দ করেছে তা খুবই সামান্য। তবে রাজ্যের অন্যান্য পৌরসভার এলাকাগুলো থেকে শিলিগুড়িতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সংগঠনের পদে নেই শোভন,কার কাছে ফোঁটা নেবেন ব্য়ক্তিগত বিষয় বললেন দিলীপ
রাজ্য় রাজনীতির চিত্র বলছে, শিলিগুড়ির পৌরসভা এখনও বামেদের দখলে। শিলিগুড়ির মেয়র সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। মূলত, বামেদের পরিচালিত পৌরসভায় খোদ বাম কাউন্সিলর ডেঙ্গু আক্রান্ত দেখাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন গৌতম দেব। এটা রাজনৈতিক মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছে রাজ্য রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক সৌজন্যের অছিলায় আসলে বামেদের কোণঠাসা করলেন তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতা। যদিও গৌতম দেব জানিয়েছেন, নেহাতই ওই বাম কাউন্সিলরের শারীরিক অবস্থা দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে কোনও রাজনীতির গন্ধ নেই।