সংক্ষিপ্ত

 

  • রায়গঞ্জের রাজপথে পাঁচ ভূতের টহলদারি
  • মাঝরাতে ভূতেদের টহলদারি দেখে অস্বস্তিতে মানুষ
  • ক্ষণিকের মধ্যেই ভুল শোধরাল বাড়ি ফিরতি জনতার
  • অবশেষে ভূতের ভয় কাটল কীভাবে

 

রায়গঞ্জের রাজপথে পাঁচ ভূতের টহলদারি।  মাঝরাতে ভূতেদের টহলদারি দেখে অস্বস্তিতে পড়তে পারেন যে কেউ। প্রাথমিক অবস্থায় কিছুটা ধন্দে পড়লেও ক্ষণিকের মধ্যেই ভুল শোধরাল বাড়ি ফিরতি জনতার। ৩১ অক্টোবর পালিত হয় 'হ্যালোইন ডে' । সেই 'হ্যালোইন ডে' পালন করতে পিছিয়ে থাকল না রায়গঞ্জও। ভূতেদের  এই বিশেষ রাতে ভূত সেজে শহরের পথে ঘুরে বেরাল কয়েকজন ভূত। কিন্তু এ ভূত সে ভূত নয়। ক্ষতির বদলে এই ভূতের পাল্লায় পড়লে লাভ বেশি। কারণ ভয় দেখানোর পরই ভূতেদের ঝুলি থেকে বেরিয়ে আসছে চকোলেট। যা দেখে ক্ষণিকের ভয় উবে যাবে মুখের হাসিতে।

ভূতেদের মধ্যে অন্যতম মহুয়া ঘোষ বলেন, প্রতি বছরই এই বিশেষ দিনটিতে হ্যালোইন ডে পালন করি। এবার যার ব্যতিক্রম হয়নি। ভূতের সাজে মাঝরাতে শহরের রাস্তায় বেরিয়েছি। মানুষকে ভয় দেখাতে নয়, চকোলেট নিয়ে মানুষকে কিছুটা আনন্দ দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে। মহুয়ার মত, সারা জীবন তো আমরা অর্থাৎ ভূতেরা কষ্ট করেই কাটাই। একদিন নয় সাধারণ মানুষকে একটু আনন্দ দিই। রায়গঞ্জের ভূতেদের দাবি, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটানো এবং তাঁদের আনন্দ দিতেই এই রাতের পথচলা।  পথচলতিদের মধ্যে সুরজিত পাল বলেন, 'আমরা এমনটা কখনও দেখিনি। শুনেছি বিদেশে হ্যালোয়িন ডে পালিত হয়। শুনেছি, তবে রায়গঞ্জে পালিত হচ্ছে দেখে ভালো লাগছে।'

প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর সারা বিশ্বে 'হ্যালোইন ডে' পালন করা হয়। খ্রিস্টানরা পূর্ব পুরুষদের স্মরণে এই উৎসব পালন করে থাকেন। আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ড এবং উত্তর ফ্রান্সে প্রাচীন কেল্টিক উৎসব হিসেবে শুরু হ্যালোইনের। লাতিন আমেরিকা, এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হ্যালোইন উদযাপনের রীতি বিভিন্ন ধরনের। স্থানীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী বদলে যায় এই উৎসব পালনের রীতি।  লাতিন আমেরিকায় ‘অল সোলস ডে’ পালিত হয় ‘ডে অফ দ্য ডেড’নামে। মেক্সিকো ও স্পেনে নভেম্বর মাসের প্রথম দু’দিন পালিত হয় মৃতদের দিন। এই দু দিন মৃতদের সমাধিক্ষেত্রে শ্রদ্ধা জানানোর পরই সকলে মেতে ওঠেন উৎসবে। এছাড়াও ভিন্ন নামে চিন, জাপান, চেক রিপাবলিকে পালিত হয় 'হ্যালোইন ডে' বা 'অল সোলস ডে।'

যার প্রতিপলন ঘটেছে রায়গঞ্জে। পথচলতি মানুষ জানিয়েছেন,এদিন রাতে ভূতেদের দেখে প্রথমে ঘাবড়ে যান পুলিশও। অবশেষে ভূতেদের হাতে থেকে চকোলেট পেয়ে হাসি ফোটে তাঁদের মুখে। রায়গঞ্জের ভূতেরা অবশ্য় বলছেন, কাউকে ভয় দেখাতে নয়, উল্টে রাতের বেলায় ভূতের ভয় কাটাতেই তাঁদের এই প্রয়াস। ভূতেদের মিলন মেলায় সবাইকে আহ্বান জানানোই তাঁদের কাজ। সারাদিনের ক্লান্তির পর ভূতেদের সঙ্গে মানুষের সহবাসে সাজা নয়, মজা পাচ্ছে রায়গঞ্জ।