সংক্ষিপ্ত
- বর্ষবরণের রাতে বাড়িতে মেয়ে ও তার বাবা ছাড়া কেউ ছিলেন না
- সকলের অনুপস্থিতিতে নাবালিকাকে ধর্ষনের চেষ্টা করেন বাবা
- খবর পেয়েই, বহরমপুর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে
- বৃহস্পতিবার ওই ব্য়ক্তিকে বহরমপুর আদলতে তোলা হবে
চারিদিকে হৈ হুল্লোড় আর উৎসবের মেজাজে নতুন বছর কে স্বাগত জানাতে মাতোয়ারা তখন সকলে। আর এর মাঝেই বুধবার চরম নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকলো মুর্শিদাবাদবাসী। বাড়িতেই লালসার শিকার হল নাবালিকা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে যে, বর্ষবরণের রাতে বাড়িতে নাবালিকা মেয়ে ও তার বাবা ছাড়া কেউ ছিলেন না। অভিযোগ, সকলের অনুপস্থিতিতে তার বছর সাতেক এর মেয়েকে ধর্ষনের চেষ্টা করেন বাবা শ্রীকান্ত দাস। এরপর স্থানীয়রা জানতে পেরে ওই ব্য়ক্তিকে মারধোর করে এবং তারপর পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
আরও পড়ুন, মুসলিমদের সিএএ আতঙ্ক কাটাবে মুসলিমরাই, ৫ জানুয়ারি থেকে ঘরে ঘরে প্রচার বিজেপির
সূত্রের খবর, বর্ষবরণের রাতে বাড়িতে কেউ ছিল না। অভিযোগ, সেই সুযোগেই এই ঘৃণ্য় কাজটি করেন কাশিমবাজার এলাকার বাসিন্দা সৎ বাবা শ্রীকান্ত দাস। এরপর খবর জানতে পেরে, হাতেনাতে পাকড়াও হয় ওই ব্য়ক্তিকে। তুলে দেওয়া হয় তাঁকে, উত্তেজিত জনতার হাতে। সকলেই শ্রীকান্তকে গণধোলাই দিয়ে বরমপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
আরও পড়ুন, প্রাণ কাড়ল সাউন্ড বক্স, পিকনিক সেরে ফেরার সময় বাঁকুড়ায় মৃত ৩
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,পেশাতে শ্রমিক ওই ব্যক্তি এ যাবৎ গোটা তিনেক বিয়ে করেছেন। সম্প্রতি বহরমপুরের কাশিমবাজার হোতা সাঁকো এলাকায় এক মহিলা কে বিয়ে করে সে। যার আগের সংসারের একটি মেয়ে আছে। এদিন ওই মহিলা কাজে বাইরে যাওয়ায় তার অনুপস্থির সুযোগ নেয় ওই ব্য়ক্তি। অভিযোগ, সেইসময়েই সাত বছরের এই নাবালিকা কে একা পেয়ে সৎ মেয়েকে ধর্ষনের চেষ্টা করে বাবা। ততক্ষণে চিৎকার শুনে আশেপাশের বাড়ির লোকরা বেরিয়ে আসা অভিযুক্ত শ্রীকান্ত দাসকে ধরে ফেলে মারধর শুরু করে। বহরমপুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে। সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, ওই ব্য়ক্তিকে বৃহস্পতিবার বহরমপুর আদলতে তোলা হবে।