সংক্ষিপ্ত

বাইরে থেকে ভুয়ো স্বাস্থ্যকর্মী 'ভাড়া' করে  চাকরিতে না এসে মাসন্তে মাইনে তুলে চলেছেন সরকারি কৃষ্ণপুর গ্রামীন হাসপাতালের একদল স্বাস্থ্যকর্মী। এক এক করে তিনজন এমন জেনারেল ডিউটি অ্যাটেন্ডেন্ট অর্থাৎ জিডিএ ধরা পড়ে গেল ।

মহামারী পরিস্থিতিতে সরকারি হাসপাতালে অন্যের হয়ে ভুয়ো চাকরি চক্র ফাঁস! হুলুস্থুল কাণ্ড মুর্শিদাবাদে। একদিকে মহামারী আর তার মধ্যেই দিব্যি সরকারি হাসপাতালে অন্যের হয়ে ভুয়ো একাধিক সরকারি কর্মচারীর কাণ্ডকারখানা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় শুক্রবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো মুর্শিদাবাদের সীমান্তের শহর লালগোলায়। 

বাইরে থেকে ভুয়ো স্বাস্থ্যকর্মী 'ভাড়া' করে  চাকরিতে না এসে মাসন্তে মাইনে তুলে চলেছেন সরকারি কৃষ্ণপুর গ্রামীন হাসপাতালের একদল স্বাস্থ্যকর্মী। এক এক করে তিনজন এমন জেনারেল ডিউটি অ্যাটেন্ডেন্ট অর্থাৎ জিডিএ ধরা পড়ে গেল । তড়িঘড়ি এই ঘটনা জানতে পেরেই রীতিমত হকচকিয়ে ওঠেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস। 

এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, “এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ ।আমি খোঁজ খবর নিয়ে এই ব্যাপারে পদক্ষপ করব।” এমনিতেই করোনা আবহে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। তার উপরে কৃষ্ণপুর গ্রামীন হাসপাতালে উঠল আরেক নতুন অভিযোগ। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে বছর খানেক আগে ওই হাসপাতালে ৪ জন জিডিএ নিয়োগ হন। 

Bank holidays 2021:অগাষ্ট মাসে ১৫ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক, রইল পুরো তালিকা

Vastu Tips: বেডরুমের এক কোণায় রেখে দিন নুন, সংসারে ফিরবে শান্তি-সমৃদ্ধি

জানেন কী, আপনার জীবন থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে এক এক সেকেন্ড আয়ু

অভিযোগ নতুন ওই চাকুরিজীবীদের মধ্যে একজন নিয়মিত ডিউটি করলেও বাকি তিন জনের দেখা মেলে না হাসপাতালে। সপ্তাহের এক দিন হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে অ্যাটেন্ডেন্ট বুকে সই করে ফের বাড়ি চলে যান তারা। ওই তিন হাসপাতাল কর্মীরা হলেন মহম্মদ হাসানুজ্জামান, অমিত হাসান ও প্রণব দাস। তার বদলে প্রতিদিন দেড় শো টাকা হিসেবে তাদের হয়ে কাজ করেন এলাকার অলিউল্লাহ শেখ, নিতাই চন্দ্র সিংহ ও বাপি শেখ। 

অভিযোগ স্থানীয় বিএমওএইচ মফিজ শেখের মদতেই এই অনভিজ্ঞ এবং বয়স্ক ভাড়াটেরা পয়সার বিনিময়ে হাসপাতালে কাজ করে চলেছেন। হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল অমিত হাসানের পরিবর্তে হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে রোগীর পায়ে দিব্বি সেলাই করছেন ভাড়াটে নিতাই চন্দ্র সিংহ। এই ব্যাপারে তাকে জানতে চাওয়া হলে নিতাই বাবু নির্দ্বিধায় বলেন, “মাসে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে আমি অমিত হাসানের কাজ করে দিই। আমার মতো আরও দু জন এই হাসপাতালে কাজ করেন।” 

স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ ইসলাম, গোলাম রব্বানীদের দাবি, এই ব্যাপারে একাধিকবার বিএমওএইচ-কে বলেও কোন লাভ হয়নি। এদিকে অনভিজ্ঞ ও অতি সাধারন মানুষ চিকিৎসা কেন্দ্রে কাজ করায় আতঙ্কের মধ্যে থাকেন রোগী ও রোগীর বাড়ির লোকজন। সঠিক তদন্ত করে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিৎ বলে দাবি তাঁদের। 

এই ব্যাপারে বিএমওএইচ মফিজ শেখকে বারংবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এদিকে ব্লকের স্বাস্থ্য পরিষেবা একেবারে ভেঙে পড়েছে বিএমওএইচের অকর্মণ্যতার জন্যই, এমন অভিযোগ স্থানীয় বিধায়ক মহম্মদ আলীর। 

"