সংক্ষিপ্ত
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, কলাকাতার রাজভবনে মঙ্গলবার বিকেল ৪টের সময় ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার যেসব পরিবারগুলি হয়েছে তাদের সেইসব পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন।
ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে রীতিমত সরব রাজ্যের বিরোধী দল। বিষয়টি ইস্যুতে দিল্লি পর্যন্ত গেছে গেরুয়া শিবির। এবার সেই ইস্যুকেই রাজ্যের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, কলাকাতার রাজভবনে মঙ্গলবার বিকেল ৪টের সময় ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার যেসব পরিবারগুলি হয়েছে তাদের সেইসব পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন।
গত বছর তৃতীয় মেয়াদের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই থেকেই রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। চলতি বছর ২ মে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার যখন তৃতীয় মেয়াদের বার্ষিকী পালনে ব্যস্ত তখন বিজেপি বাংলায় চলা রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে রাস্তায় নামে। মিছিল মিটিং করেন। দলের বিধায়ক দিলীপ ঘোষ নিহত দলীয় কর্মীদের কথা স্মরণ করে পুজো করেন গঙ্গার ঘাটে।
বিজেপি রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ তুলে এদিন বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছিল। তারা কলকাতা মিছিলের কর্মসূচি পালন করেছিল। দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, গত একবছর পশ্চিম বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস একটা কলঙ্কময় অধ্যায়। সংখ্যাগরিষ্ঠাতা পাওয়া একটি সরকার ধীরে ধীরে জনগণের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এদিন ওঠে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংএর প্রসঙ্গও। সম্প্রতি তাঁকে দেখা গিয়েছিল সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন জুট শিল্পের সর্বনাশ এর পিছনে বিরাট অবদান আছে সিপিএমের। তাই শ্রমিকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার প্রায়শ্চিত্ত করতে অবিলম্বে বামেদের রাস্তায় নেমে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ।
বিজেপির সেই কর্মসূচির রেশ ধরেই এদিন আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজভবন সফর। রাজ্যপাল অবশ্য তাঁর টুইটে ট্যাগ করেছেন, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষকে। মনে করা হচ্ছে এই তিন নেতা একসঙ্গে রাজভবনে আসতে পারেন।
বিজেপির অভিযোগ এপর্যন্ত বিজেপির প্রচুর সদস্যকে বলি হতে হয়েছে রাজনৈতিক হিংসার। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মীরা তাদের সদস্যদের খুন করছে বলেও অভিযোগ বিজেপির। সরকার ও পুলিশ এই বিষয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা নিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি তৃণমূলের সন্ত্রাসের ভয়ে বিজেপি অনেক কর্মী ও সদস্য গ্রাম ছাড়া অবস্থায় রয়েছে বলেও দাবি গেরুয়া শিবিরের। ভিটে মাটি ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে তাদের অন্যত্র যেতে হচ্ছে বলেও দাবি করেন বিজেপি নেতারা।