সংক্ষিপ্ত
শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বাড়ির সামনেই কার্যত মহরম শেখ দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে জানা যায়।
পুরভোটের(municipal polls) আবহে যখন ফুটছে হাওড়া-কলকাতা(howrah-kolkata) তখন ক্যানিংয়ে(Canning) তৃণমূল(Trinamool) নেতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বাড়ছে উত্তেজবা। বাড়ির সামনেই তৃণমূলের যুব নেতা তথা নিকারিঘাটা অঞ্চল যুব তৃণমূলের সভাপতি মহরম শেখকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায়। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বাড়ির সামনেই কার্যত মহরম শেখ দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে জানা যায়। দুটি গুলি লাগে মহরমের শরীরে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে তিনি এসএসকেএমের(SSKM Hospital) ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন। এদিকে ইতিমধ্যেই আহত তৃণমূল নেতাকে দেখতে যান বিধায়ক শওকত মোল্লা। এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে আততায়ীদের মধ্যে কয়েকজনকে চিনতে পেরেছে মহরম ও তার পরিবারের সদস্যরা। সেই সূত্র ধরেই আততায়ীদের খোঁজ করছে ক্যানিং থানার পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। চলছে টহল।
প্রত্যক্ষ দর্শীদের দাবি বাড়ির সামনেই বসে ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। আচমকাই একটি অটো দ্রুত গতিতে এসে তার সামনে থামে। চলে গুলি। অটোয় চার জন ছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তাদের মধ্যে তিন জনকে মিয়ারুল, হাফিজুল ও রফিক বলে চিহ্নিত করতে পেরেছেন তাঁরা। এদিকে দলীয় কর্মীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার খবর পেয়ে ক্যানিং পশ্চিম এর বিধায়ক পরেশ দাসও ছুটে আসেন হাসপাতালে। এই ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তিনিও।
আরও পড়ুন-কৃষক আন্দোলনে তৃণমূলের ‘কৃতিত্ব’ নিয়ে প্রশ্ন, মমতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তোপ অধীরের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মাস কয়েক আগেই মহরমে গুলি চলার ঘটনা ঘটেছিল। সেবার তাঁর পায়ে গুলি লেগেছিল। বিষয়টি যুব তৃনমূলের তরফ থেকে পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এ বিষয়ে কোনোরকম পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণেই এ দিনের ঘটনা ঘটলো বলে অভিযোগ করেছেন ক্যানিং পশ্চিম এর বিধায়ক পরেশ দাস। তবে অসমর্থিক সূত্রে খবর, এলাকায় তৃণমূলের দলীয় গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে আসল শত্রুতার বীজ কোথায় লুকিয়ে তা জানতে মাঠে নেমে পড়েছে পুলিশ।