সংক্ষিপ্ত
- করোনা আবহের মধ্য়ে গুরুতর অভিযোগ
- স্বাস্থ্যকর্মীদের মাস্ক ও পিপিই কিট না দেওয়ার অভিযোগ
- অভিযোগ উঠতেই স্বাস্থ্যমহলে চাঞ্চল্য
- বিক্ষোভ দেখালেন চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীরা
বিশ্বনাথ দাস, হাওড়া-শীত পড়লেও করোনা থাবা থেকে অব্যাহতি নেই। দিনে দিনে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মাঠে নেমে কাজ করে চলেছেন করোনা যোদ্ধারা। এই পরিস্থিতিতেও গুরুতর অভিযোগ উঠল প্রশাসনের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যাপ্ত মাস্ক ও স্যানিটাইজার না দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে সিএমওএইচের দফতরে বিক্ষোভ দেখালেন চুক্তি ভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীরা।
আরও পড়ুন-কেমন চলছে 'দুয়ারে-দুয়ারে', মেদিনীপুরে নিজেই খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী
কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল হেল্থ মিশন প্রকল্পের অধীনে হাওড়া জেলায় কাজ করছেন প্রায় এক হাজার জন চুক্তি ভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মী। গোটা রাজ্যে এদের সংখ্যা প্রায় কুড়ি হাজার। করোনা আবহের মধ্যে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে তাঁরা লড়াই করছেন। অথচ তাঁদের সরকারি তরফ থেকে পিপিই কিট, পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক ও স্যানিটাইজার দেওয়া হয়না বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই তাঁদের বেশ কয়েকজন করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন। কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু অবধি হয়েছে বলেও তাঁদের দাবি। এর প্রতিবাদ জানিয়ে হাওড়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন প্রায় ৫০০ জন চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মী। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিলে বিক্ষোভ দেখানো হয় বঙ্কিম সেতুর নীচে।
আরও পড়ুন-কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ভারত বনধ, মিশ্র প্রভাব পড়ল হাওড়ায়
তাঁদের আরও অভিযোগ, স্থায়ী কর্মীদের মত সমপরিমাণ কাজ করা সত্ত্বেও, তাঁরা তাঁদের এক তৃতীয়াংশ বেতন পাচ্ছেন। এছাড়াও, অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত তাঁরা। প্রশাসন তাঁদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে বলে দাবি চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীদের। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ ভবানী দাস জানান, চুক্তি ভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীদের যে দাবি তা যুক্তিসঙ্গত। এবিষয়ে তিনি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছেন। বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।