সংক্ষিপ্ত

নিম্নচাপের জেরে আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে তুমুল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতা সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে শনিবার দিনভর বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি বৃষ্টি সম্ভাবনা আছে। মুশলধারের বৃষ্টির পাশাপাশি প্রায় ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও। 
 

মধ্য বঙ্গপোসাগরে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ। উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা, জারি লাল সতর্কতাও। নিম্নচাপের জেরে আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে তুমুল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতা সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে শনিবার দিনভর বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি বৃষ্টি সম্ভাবনা আছে। মুশলধারের বৃষ্টির পাশাপাশি প্রায় ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও।  

আগামী ৭ তারিখ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গপসাগর ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার ফলে দুই বঙ্গে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। যত সময় পেরোবে ধীরে ধীরে শক্তি বাড়তে থাকবে এই মিম্নচাপের। যার ফলে ৯ তারিখ থেকে ১১ তারিখ দক্ষিণ বঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বড়বে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। ১০ তারিখ বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে কলকাতা সহ দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি এই জেলাগুলিতে। অন্যান্য জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। প্রথম ২৪ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। অন্যন্য জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।   

এই বছর মরশুমের শুরু থেকেই বৃষ্টি প্রায় হয়নি বললেই চলে। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ৪৭ শতাংশ, যা গত কয়েক বছরের মধ্যে রেকর্ড কম বৃষ্টিপাত। অপরদিকে মরশুমের শুরু থেকেই ভাসছে উত্তরবঙ্গ। সময়ের আগে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করাই এই অতি বৃষ্টির কারণ। একদিকে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে  উত্তরবঙ্গে অপদিকে রেকর্ড বৃষ্টির ঘাটতি দক্ষিণবঙ্গে। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালি দেখে রীতিমত উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ মহল।