সংক্ষিপ্ত
টানা বৃষ্টিতে মুর্শিদাবাদের লালবাগ মহাকুমার অন্তর্গত গ্রামের বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে পড়ে। তার ফলে আচমকা ভিটেমাটি হারিয়ে চরম দূর্ভোগে পড়ে যান কয়েক হাজার গ্রামবাসী।
পদ্মা আর বৃষ্টির জলের ফলে বাঁধ ভেঙে বন্যা। আচমকা দিশেহারা অবস্থা কয়েক হাজার পরিবারের। টানা বৃষ্টির ফলে রবিবার মুর্শিদাবাদের লালবাগ মহাকুমার অন্তর্গত হালদারপাড়া , ভাঙন পাড়া, মহলদার পাড়ার মতো গ্রামের বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে পড়ে। তার ফলে আচমকা ভিটেমাটি হারিয়ে চরম দূর্ভোগে পড়ে যান কয়েক হাজার গ্রামবাসী।
আরও পড়ুন, 'ত্রিপুরাতে নাটক করতে যাচ্ছেন TMC নেতারা', ঘাটালে গিয়ে বন্যা ইস্যুতেও বিস্ফোরক দিলীপ
অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে জল নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল থাকার কারনেই বৃষ্টি পাত বেশি হওয়ার ফলে এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে ।এই ব্যাপারে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তসলিমা বিবি বলেন ,'আপাতত প্যাম্প দিয়ে জমা জল বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।পরে এর স্থায়ী সমাধানের কথা ভাবা হবে।' একদিকে পদ্মার জলের চাপ তো ছিলই সেইসঙ্গে বৃষ্টিপাতের কারনে জল ঢুকে প্লাবিত করেছে হালদারপাড়া ,ভাঙন পাড়া সহ মহালদার পাড়া লাগোয়া একাধিক গ্রাম।ফলে এলাকার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন । অথচ এলাকার বেশির ভাগ মানুষ দিন আনা দিন খাওয়া ,এদিকে বাড়ির বাইরে যেতে না পেরে তাদের খাবারে টান পড়েছে বলেও অভিযোগ ।অন্যদিকে জমা জলে মশা বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ার আশঙ্কাও করেছেন বাসিন্দারা ।তাছাড়া টিউবওয়েল গুলি জলের তলায় চলে যাওয়ায় পানীয় জলের অভাব দেখা গিয়েছে জল বন্দি মানুষ গুলোর ।
"
আরও পড়ুন, আজ সকালেই ৮ জেলায় প্রবল বর্ষণ, সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা
এলাকার বাসিন্দা সোলেমান শেখ , গোলাম জাকারিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ,'আমরা একাধিক বার পঞ্চায়েত এবং ব্লকে গিয়ে আমাদের সমস্যার কথা জানিয়েছি ।তখন আমাদের তাচ্ছিল্য করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ।অথচ আগে ভাগে একটু সতর্ক হলে আমাদের এই ভাবে জল বন্দি হতে হত না ।' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্লক কর্তা বলেন ,'এলাকার সমস্ত পুকুর ভরাট করে দেওয়ার ফলে ওই এলাকার জল বের হতে পারছে না । আর তাতেই এই অবস্থা।' এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা সালেনূর বিবি , মুন্তাজ শেখ দের দাবি ,'এই পরিস্থিতিতে আমরা জল বন্দি হয়ে আছি । পঞ্চায়েত কেবল দায়সারাভাবে বছর বছর পাম্প দিয়ে জল বের করে পরিস্থিতি সামাল দেয় মাত্র।কয়েক বছর থেকে এই 'খেলা' দেখছি ।এবার এর স্থায়ী সমাধান করা হোক। নাহলে সব শেষ হয়ে যাবে।'
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস