সংক্ষিপ্ত
ক্ষমতায় ফিরলে আগামী ৫ বছরে কি কি উন্নয়ন হবে চন্দননগর কর্পোরেশনে তার একটি রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে দলের তরফে। শুক্রবার দুপুর দুটোর সময় চন্দননগর বউবাজার এলাকার একটি লজে সেই রূপরেখা সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরলেন স্থানীয় বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন।
রাজ্যের আন্যান্য পৌরসভা গুলির মতো চন্দননগরেও বেজেছে ভোটের দামামা। এদিকে শুক্রবার বিকালেই চন্দননগরের জন্য নির্বাচনী ইস্তেহারও (Election manifesto for Chandannagar) প্রকাশ করে দিয়েছে শাসক তৃণমূল। নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন, সমাজকল্যান সহ মোট দশটি পয়েন্টে জোর দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের ইস্তেহারে (Trinamool manifesto)। ক্ষমতায় ফিরলে আগামী ৫ বছরে কি কি উন্নয়ন হবে চন্দননগর কর্পোরেশনে তার একটি রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে দলের তরফে। শুক্রবার দুপুর দুটোর সময় চন্দননগর বউবাজার এলাকার (Chandannagar Bowbazar area) একটি লজে সেই রূপরেখা সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরলেন স্থানীয় বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন (MLA Indranil Sen)। একগুচ্ছ উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে আগামীতে পুরবোর্ড কীভাবে কাজ করবে, চন্দননগরে দলীয় ইস্তেহার প্রকাশ করে সেকথাও জানান গায়ক-মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।
এদিন চন্দননগরের খলিসানীতে সাংবাদিক সম্মেলন করে আগামী চন্দননগর কী হবে, পাঁচ বছরে কী কী কাজ করা হবে, তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। ইস্তেহারে নাগরিক পরিষেবার উপরেই সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে দুই বিধায়ক স্নেহাশিষ চক্রবর্তী এবং অসীমা পাত্রকে নিয়ে এই দলীয় ইস্তেহার প্রকাশ করেন ইন্দ্রনীল সেন। চন্দননগরের ১০ দিগন্ত নামে একটি পুস্তিকা বের করা হয় দলের তরফে। তাতে পুর এলাকার নিকাশি ও নর্দমা ব্যবস্থা, সড়ক পরিকাঠামো, জল সরবরাহ, নির্মল চন্দননগর, নাগরিক বান্ধব চন্দননগর, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজ কল্যাণ, প্রশাসনিক প্রক্রিয়া ও সংস্কৃতি ও পর্যটন নিয়ে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় শাসক দলের তরফে। যা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে হুগলীতে।
আরও পড়ুন- ফিল্মি স্টাইলে প্রকাশ্য রাস্তায় চোর ধরছে পুলিশ, হতবাক পথচলতি মানুষ, দেখুন Viral Video
আগামীতে চন্দননগর স্ট্র্যান্ডে লাইট এন্ড সাউন্ড শো চালু করার মতো একটি জনপ্রিয় পরিকল্পনাও রয়েছে তৃণমূলের। সেকথাও এদিন জানান ইন্দ্রনীল সেন। এদিকে চন্দননগর ও সংলগ্ন এলাকায় যে নিকাশির সমস্যা দীর্ঘদিনের তা মানছেন সকলেই। এমনকী সম্প্রতি এই ইস্যুতে একাধিকবার সরব হতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। তাই সেই সমস্যার যে দ্রুত সমাধান করা হবে তাও বারেবারেই জানান বিধায়ক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিনের সভায় চন্দননগরের প্রায় সব তৃণমূল প্রার্থীই উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যের চার পুরসভায় নির্বাচন রয়েছে চলতি মাসের ২২ তারিখ। ভোট হবে চন্দননগরে। তবে যে ভাবে রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ সেখানে ভোট নিয়ে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। তবে ভোট হলে পাল্লাভারী যে তৃণমূলেরই তেমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে আম-আদমির জনমতে।