সংক্ষিপ্ত

হাওড়া পুরভোট নিয়ে মঙ্গলবারই সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্ট। ইতিমধ্যেই হাওড়া পুরভোট নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি চেয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে মেইল করেছেন মামলাকারী আইনজীবী।  

হাওড়া পুরভোট নিয়ে মঙ্গলবারই সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্ট। ইতিমধ্যেই হাওড়া পুরভোট (Howrah Municipal Election) নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি চেয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে মেইল করেছেন মামলাকারী আইনজীবী। উল্লেখ্য, ক্রমশ হাওড়া পুরভোট ঘিরে জটিলতা বেড়েই চলেছে। কী কারণে বাইশের পুরভোট থেকে বাদ গিয়েছে হাওড়া পুরভোট, এনিয়েই মঙ্গলবার শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।

মামলাকারীর মূল বক্তব্য, সোমবার নির্বাচন কমিশন চারটি পুরনিগমের ভোট ঘোষণা করে। সেখানে কী কারণে হাওড়াকে বাদ রাখা হয় বলে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। এরপরেই জরুরীভিত্তিতে হাওড়া পুরভোট নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি চেয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে মেইল করেন মামলাকারী আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। মূলত, কলকাতা হাইকোর্টকে প্রথমে ৫ টি পুরনিগমে নির্বাচনের কথা জানিয়েও শেষ অবধি কী কারণে বাদ গিয়েছে হাওড়া পুরনিগমের নাম, এনিয়েই বাড়ে চাপান উতোর রাজ্য-রাজনীতিতে। যদিও রাতেই  মামলাকারী আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জরুরী ভিত্তিতে শুনানি নয়। তাঁকে মঙ্গলবার সুনির্দিষ্টভাবে মামলা দায়ের করতে বলা হয়েছে। মামলা দায়েরের পরেই হাইকোর্ট বিষয়টি শুনবে। মামলাটি আদৌ গৃহিত হবে কিনা,তাও এদিন জানিয়ে দেওয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যপালের টুইটের পরেই আরও জটিলতা বাড়ে। একদিকে যখন কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র মুখোপাধ্যায় জানান যে, রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড় হাওড়া পুরবিলে সই করেছেন। এদিকে 'রাজ্যপাল কোনও পুরবিলে সই করেননি', বলে দাবি জানান শুভেন্দু-সুকান্তরা। এরপরেই 'হাওড়া পুরনিগম সংশোধনী বিলটি এখনও রাজ্যপালের বিবেচনাধীন', বলে জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এরপরেই হাওড়া পুরভোটের ভবিষ্যত নিয়ে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। মূলত কলকাতা পুরভোটের সঙ্গে একইদিনেই হাওড়া পুর ভোট নিয়ে প্রথমবার প্রস্তাব দেয় রাজ্য। কমিশন মেনে নিলেও বাদ সাধে রাজ্যপালের সই। সরব হয় তৃণমূল। হাওড়া পুরভোটের দেরী হওয়ার জন্য রাজ্যপালকে দায়ী করেন  বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়।বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়ের অভিযোগ, 'হাওড়া থেকে বালি পুরসভা আলাদা করার জন্য বিলে রাজ্যপাল সই করেছেন। আর সেই কারণেই হাওড়ায় ভোট করানো সম্ভব হচ্ছে না।'  উল্লেখ্য সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। মঙ্গলবার প্রকাশিত হবে ভোটের বিজ্ঞপ্তি। শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর, বিধাননগরে ভোট হচ্ছে ২২ জানুয়ারি। ২৫ জানুয়ারি হবে ভোটের গণনা। এবারও সব বুথে থাকছে সিসি ক্যামেরা।