সংক্ষিপ্ত
- রেমডিসিভির সহ নেশার সিরাপ ফেন্সিডিল বাজেয়াপ্ত
- পাচারের আগেই বাজেয়াপ্ত বিএসএফের হাতে
- ৫৯ প্যাকেট রেমডিসিভির ইঞ্জেকশন উদ্ধার
- আনুমানিক মূল্য ৮ লক্ষ টাকা
রেমডিসিভির পাচারের আগেই বাংলাদেশ লাগোয়া সীমান্ত মুর্শিদাবাদের লালগোলা এলাকায় বড়সড় সাফল্য পেল সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ। পাচারের আগেই সীমান্তরক্ষী জওয়ানদের হাতে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ রেমডিসিভির।
কলকাতার পরে কি এবার মুর্শিদাবাদ! এই প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তাদের। শুক্রবার এই ঘটনা চাউর হতেই জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মাত্র দিন দুয়েক আগে লালবাজার পুলিশের অপরাধ দমন শাখার হাতে ডায়মন্ড হারবার রোড থেকে ১৩২ ভায়াল রেমডিসিভির সহ গ্রেফতার হয় ৩ কারবারি। তারা রেমডিসিভিরের কালোবাজারির সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে অনুমান।
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই চুপিসারে কাঁটাতার টপকে মাদকের সঙ্গে রেমডেসিভির ওষুধ বাংলাদেশ থেকে পাচারের আগেই উদ্ধার হল মুর্শিদাবাদে। সব মিলিয়ে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত কয়েক লক্ষ টাকায় রেমডিসিভির সহ নেশার সিরাপ ফেন্সিডিল বাজেয়াপ্ত করলেন বিএসএফ আধিকারিকরা। এই সব পাচার হতে চলা দ্রব্য উদ্ধার করেন লালগোলা ডিএমসি ক্যাম্পের ৩৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানরা। পুরো এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার যোগেশ প্রতাপ সিং।
জানা গিয়েছে, বিএসএফের এই অভিযানের ফলে পাচার হওয়ার আগেই ১৯৫ শিশি ফেন্সিডিল, ৫৯ প্যাকেট রেমডিসিভির ইঞ্জেকশন উদ্ধার হয়। সব মিলিয়ে এর আনুমানিক মূল্য ৮ লক্ষ টাকা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাচারকারীদের খোঁজে সীমান্ত এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি এবার বাংলাদেশ লাগোয়া মুর্শিদাবাদ করিডোরকেই নতুন ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করতে চলেছে চোরাকারবারীরা।
এদিকে, শুক্রবার ভারতের মোট করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিমাণ ২ কোটি ৪০ লক্ষ ছাপিয়ে গেল। এদিন সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রক জানিয়েছে বৃহস্পকিবার গোটা দেশে ৩,৪৩,১৪৪ টি নতুন কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনা নথিবদ্ধ করা হয়েছে। আর গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড জনিত কারণে প্রাণহানি ঘটেছে ৪০০০ জনের। ফলে ভারতে কোভিডে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ২,৬২,৩১৭-এ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ড্যাশবোর্ড অনুসারে দেশের মোট করোনা সংক্রমণের সংখ্যা এখন ২,৪০,৪৬,৮০৯। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত করোনা বুলেটিন অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালের তুলনায় এদিন আরো একটু কমেছে চিকিৎসাধীন রোগীর চাপ। ভারতে এই মুহূর্তে করোনার সঙ্গে লড়াই করছেন ৩৭,০৪,৮৯৩ জন, যা দেশের মোট কোভিড-১৯ সংক্রমণের ১৫.৬৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩,৪৪,৭৭৬ জন।