সংক্ষিপ্ত
TMC নেতাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার করার প্রস্তুতি শুরু করেছেন দলেরই বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। কলকাতা হাইকোর্টে মামলার তোড়জোড় শুরু করেছেন।
দলীয় শীর্ষ নেতৃত্ব কে চরম নাকালে ফেলে দিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল তুলে দিল মুর্শিদাবাদের তৃণমূলের বিতর্কিত দাপুটে নেতা তথা ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির। মঙ্গলবার সেই ঘটনা জানাজানি হতেই রীতিমতো ড্যামেজ কন্ট্রোলে' নেমে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায়, ৭ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক। সামনে পৌরসভার নির্বাচনের আগে সরাসরি হাইকোর্টে মামলা করাকে কেন্দ্র করে নতুন ভাবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৭ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান এর আগে খোদ তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একাধিক অভিযোগ করেছিলেন। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল এলাকায় উন্নয়নের কাজে বাধা সৃষ্টি করা। আর তার পরেই তার পাল্টা হিসেবে এবার কলকাতা হাইকোর্টে সরাসরি মানহানির মামলা দায়ের করার কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির।
অভিষেকের সঙ্গে মিটিং করে সত্যি কি শাস্তির মুখে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, কী বলছে বিজেপি
ভারতের আসল পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানে গিয়ে নিখোঁজ, সেই জঙ্গি নিহত এনকাউন্টারে
ঋতুস্রাবের দিনগুলি কঠিন, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জৈব প্যাড তৈরি করে মহিলাদের ত্রাতা এক তরুণ
পাশাপাশি নয়া রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের কাছে নিজের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে কংগ্রেস ও বিজেপির ঘর ভেঙে কর্মী-সমর্থকদের আনার চেষ্টা ও একই সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ঘনিষ্ঠ মহলে হুমায়ূন বলেন," যারা আমার বিরুদ্ধে দলের সর্বভারতীয় সম্পাদকের কাছে অভিযোগ করেছেন তাদের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। ২ মে ভরতপুরের বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর মাত্র কয়েকটা উন্নয়ন বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম আমি। তাই ওদের(ঐ ৭ জন তৃণমূল প্রধান) কাজে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই ধরনের অভিযোগ এনে ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার সম্মানহানির চেষ্টা চলছে। তাই ওই প্রধান দের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করছি কলকাতা হাই কোর্টে"। এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ পেতেই রীতিমতো ড্যামেজ কন্ট্রোলে' নেমে পড়েছে জেলা তৃণমূল। এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখে কুলুপ এঁটেছে।