সংক্ষিপ্ত
- তিন মাস আগে বিয়ে হয়েছিল যুবতীর
- বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে অশান্তি
- অন্য সম্পর্ক রয়েছে স্ত্রীর, সেই সন্দেহেই খুন
- পালানোর আগেই গ্রেফতার অভিযুক্ত
নিছক সন্দেহ, আর তার জেরেই সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে খুন করল এক যুবক। নৃশংস এই কাণ্ডটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলায়। মৃতের নাম শাহিনা খাতুন(২০)।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে লালগোলা থানার নদাইপুর এলাকায়।মঙ্গলবার এই খবর এলাকায় চাউর হতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী আহাদ শেখ গা ঢাকা দেয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য লালগোলা ছেড়ে পালানোর সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত আহাদ শেখ কে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আজ লালবাগের আদালতে তুলবে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় মাস তিনেক আগে লালগোলা থানার পাইকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা শাহিনা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় পাশের গ্রাম শিসা রমজানপুরের আহাদ শেখের সঙ্গে। অভিযোগ,বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিয়েতে অমত ছিল শাহিনার। ফলে, পেশায় ঠিকা শ্রমিক আহাদের সঙ্গে নিত্যদিন তাঁর অশান্তি লেগেই থাকত। আহাদ তার স্ত্রীর সাথে অন্য কারো সম্পর্কের কথাও সম্প্রতি জানতে পারেন বলে স্থানীয়দের দাবি। এর ফলে দাম্পত্য কলহ আরও বাড়ে। অশান্তি চরমে পৌঁছলে সোমবার নদাইপুর এলাকায় তাঁর এক নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে চলে যান শাহিনা। রাতে কাজ থেকে বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে ওই আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় আহাদ। সেখান শাহিনার সঙ্গে কথা বলবে বলে স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে বাড়ির বাইরে আসে সে। স্ত্রীকে একা পেয়েই তাঁর উপরে পূর্ব পরিকল্পিত হামলা চালায় আহাদ। অন্ধকারের মধ্যেই স্ত্রীর পেটে ভোজালির কোপ মেরে পালায় অভিযুক্ত। দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও শাহিনা ফিরে না আসায় তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন বাড়ির লোকেরা। পরে স্ত্রীকে পেটে ভোজালি মেরে ফেলে পালয় আহাদ।এতেই গুরুত্বর যখম হন ওই গৃহবধূ । আহত কে উদ্ধার করে কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত গৃহবধূরর বাবা সাইদুর রহমান মঙ্গলবার থানায় দাঁড়িয়ে বলেন , “বিয়ের পর একদিনের জন্যেও আমার মেয়েকে শান্তিতে থাকতে দিল না ওর স্বামী। তাই বলে যে শেষ পর্যন্ত ওকে প্রাণে মেরে ফেলবে, তা আমরা ভাবতেও পারিনি। আহাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি।”