সংক্ষিপ্ত
- উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের ঘটনা
- মেয়ের বাড়ির অমতে বিয়ে
- তার পরেই স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগ স্বামীর
- স্ত্রীকে ফিরে পেতে আত্মহত্যারও হমকি
বাড়ির অমতে বিয়ে। তাই বিয়ের দিন কয়েক পরেই জামাইয়ের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল পাত্রী পক্ষের বাড়ির বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ করেও স্ত্রীকে ফেরত না পেয়ে এখন তাই আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছেন অভিযোগকারী জামাই।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। অভিযোগকারী মেহবুব আলমের দাবি, এ মাসের শুরুতেই রামগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা কাশ্মীরা বেগমকে ভালবেসে বিয়ে করেন তিনি। যদিও পেশায় বিমা সংস্থার এজেন্টের সঙ্গে মেয়ের বিয়েতে শুরু থেকেই আপত্তি ছিল কাশ্মীরার পরিবারের। মেহবুব জানিয়েছেন, প্রথমে ধর্মীয় মতে বিয়ের পরে গত ৪ জুন আইন মেয়ে রেজিস্ট্রি বিয়ে হয় তাঁদের। মেহবুবের স্টেশন রোডের বাড়িতেই সংসার পাতেন দু' জনে।
বেশ কয়েকদিন দিব্যি চলার পরে গত ১২ জুন রাতে মেহবুবের বাড়িতে কাশ্মীরার পরিবারের লোকজন চড়াও হয় বলে অভিযোগ। মেহবুবের দাবি, তাঁর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁর স্ত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর থেকে কাশ্মীরার কোনও খোঁজ পাননি মেহবুব। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগ তুলে ইসলামপুর থানায় অভিযোগ জানান তিনি। কিন্তু তাঁর স্ত্রীকে খুঁজতে পুলিশ কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না বলেই অভিযোগ মেহবুবের।
স্ত্রীকে ফিরে পেতে এবার পুলিশের উপরেই পাল্টা চাপ বাড়ানোর পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। মেহবুবের দাবি, পুলিশ যদি তাঁর স্ত্রীকে খুঁজে না বের করে, তাহলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। এ দিনই ইসলামপুর থানায় গিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে এসেছেন মেহবুব। পুলিশের অবশ্য দাবি, কাশ্মীরাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ঠিক নয়।