সংক্ষিপ্ত

বিক্ষোভের ফলে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর-টাটা ও চান্ডিল-আসানসোল লাইনে পুরোপুরি ব্যাহত ট্রেন চলাচল। বেশ কিছু ট্রেন ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। 

কুর্মি সমাজের মানুষদের তফশিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, এই দাবিতে পাঁচ দিন ধরে পুরুলিয়ার কুস্তাউর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে রেল লাইনের উপরে বসে পড়ে আন্দোলন করছেন কুর্মি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা৷

জাতীয় সড়কে আটকে রয়েছে একের পর এক পণ্যবাহী গাড়ি। এখনও রেল অবরোধ চলছে পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে। প্রচুর ট্রেন ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে প্রশাসনের একাধিকবার আলোচনা করেও লাভ কিছু হয়নি। শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফ থেকে ৪৩ টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কুর্মি সমাজের এই আন্দোলন কবে থামবে, সেই বিষয়েও এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। সব মিলিয়ে প্রবল ভোগান্তিতে পড়েছেন রেল যাত্রীরা। শনিবার পর্যন্ত প্রায় আড়াইশো দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ পূর্ব রেল।

দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা মঙ্গলবার থেকেই  ঘটনাস্থলে রয়েছেন ও তাদের বোঝানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন । পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছে এই বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে যাতে রাজ্য সরকারের সাহায্য তাদেরকে রেলের লাইন থেকে সরিয়ে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু যতক্ষণ না বিক্ষোভকারীরা রেলের লাইন থেকে সরছেন, ততক্ষণ দক্ষিণ পূর্ব রেলের পরিষেবা স্বাভাবিক হবে না। শনিবার বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিলের পাশাপাশি যাত্রা পথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।  বহু  ট্রেন ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। কবে এই সমস্যা মিটবে তার দিকেই কার্যত তাকিয়ে আছে রেল যাত্রীরা। দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফ থেকে জারি করা বুলেটিনগুলিতে বলা হয়েছে যে, বিক্ষোভের ফলে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর-টাটা ও চান্ডিল-আসানসোল লাইনে পুরোপুরি ব্যাহত ট্রেন চলাচল। বেশ কিছু ট্রেন ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। যার ফলে বিপাকে পড়েছেন কয়েক হাজার রেল যাত্রী। 

রাঁচি-খড়গপুর এক্সপ্রেস, ধানবাদ-টাটানগর এক্সপ্রেস, খড়গপুর-টাটানগর এক্সপ্রেস এবং প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, টাটানগর-খড়গপুর (স্পেশাল এবং প্যাসেঞ্জার), টাটানগর-হাওড়া এক্সপ্রেস, হাওড়া-বারবিল জামশেদপুর এক্সপ্রেস, হাওড়া-টিটলাগড় ইস্পাত এক্সপ্রেস, টাটানগর-দানাপুর এক্সপ্রেস, হাটিয়া-খড়গপুর এক্সপ্রেস, খড়গপুর-ঝাড়গ্রাম-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস, টাটানগর-চক্রধরপুর প্যাসেঞ্জার, আসানসোল-টাটানগর স্পেশাল, আদ্রা-পুরুলিয়া প্যাসেঞ্জার, আসানসোল-রাঁচি প্যাসেঞ্জার, পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম প্যাসেঞ্জার, ধানবাদ-ঝাড়গ্রাম এক্সপ্রেস সহ বাতিল হয়েছে বহু ট্রেন। 

শুধুমাত্র রেল নয়। সড়কপথেও চলছে বিক্ষোভ। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে গাড়ি। শুধুমাত্র অ্যাম্বুল্যান্স ছাড়া কোনও যানবাহন যেতে দেওয়া হচ্ছে না৷ ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর অবরোধের জেরে আটকে পড়েছে হাজার হাজার ট্রাক। রাস্তাতেই দিন কাটছে চালক এবং খালাসিদের। 


আরও পড়ুন-
চোখের পাওয়ার বাড়ছে, দৃষ্টিশক্তি কমে যাচ্ছে? প্রতিদিনের তালিকায় অবশ্যই রাখুন এই কয়েকটি খাবার
ত্রিপুরায় তৃণমূলে বড়সড় যোগদান পর্ব, একসঙ্গে ঘাসফুলে যোগ দিলেন দু’শো জনেরও বেশি মানুষ

নরেন্দ্র মোদীর জমানায় বিরোধী দলের হেভিওয়েট নেতাদের দিকেই ইডির বিশেষ নিশানা? প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য