সংক্ষিপ্ত

দক্ষিণ দিনাজপুরে আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন। জঙ্গল থেকে উদ্ধার অর্ধনগ্ন দেহ। তবে ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে, এখনও তা স্পষ্ট নয়।  শুক্রবার ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার -সহ অন্যান্যরা।

দক্ষিণ দিনাজপুরে আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন। জঙ্গল থেকে উদ্ধার অর্ধনগ্ন দেহ। ইতিমধ্য়েই দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান ধর্ষণের পরে খুন করা হয়েছে মহিলাকে। পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। একাধিক জায়গায় মহিলাদের খোঁজও করেন পরিবাররে সদস্যরা। তবে কোথায় হদিশ পাননি তাঁরা। এরপরেই গভীর রাতে বাড়ির পাশের জঙ্গলে অর্ধনগ্ন অস্থায় উদ্ধার হয় ওই মহিলার দেহ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। রাতেই ঘটনাস্থলে যান পুলিশ আধিকারিকরা। এরপরেই উদ্ধার করা হয় ওই মহিলার দেহ।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২৮ এপ্রিল এই দক্ষিণদিনাজপুরে আরও একটি  মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ধর্ষণে অভিযুক্ত খোদ ওই কিশোরীর পরিচিত ব্যাক্তি।  ধর্ষণ অভিযুক্ত অচেনা কেউ নয়, দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ই ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লক এলাকায়।সকলের আড়ালে  মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে ধর্ষণ করেন ওই দূর সম্পর্কের আত্মীয়। এদিকে পরিচিত হওয়ায় প্রথমে গভীর রাতে কেউ ব্যাপারটা আঁচ করতে পারেননি। তবে সকাল হতেই নৃশংস ঘটনার পর্দা ফাঁস হয়। সকালে ওই কিশোরী মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সঙ্গে সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা বছর ১৬ এর ওই কিশোরীকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করান। এদিকে একেই দুঃস্থ পরিবার, তার উফর এহেন ঘটনার পর কী করবে বুঝে উঠে পারছিল ওই পরিবার। তবে ধর্ষণের বিষয়টি বুঝতে পেরেই বালুরঘাট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই হাসপাতাল।

আরও পড়ুন, অটোয় নাবালিকার গোপানাঙ্গে স্পর্শ, মানিকতলায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার খোদ পুলিশই

আরও পড়ুন, সাতসকালে ফের আরও ২ বাড়িতে ফাঁটল, বউবাজারকাণ্ডে রেলকে চিঠি অধীরের, আজ বৈঠক পুরসভার

রাজ্যে ফের আরও একটা ধর্ষণ করে খুন উদ্বেগ বাড়াল প্রশাসনের।  কিন্তু কথা হচ্ছে আর কত ধর্ষণ হবে পশ্চিমবঙ্গের বুকে, কেন এই নৃশংসঘটনাগুলিতে যবনিকা টানা যাচ্ছে না, কেন রাজ্যের অপরাধ মনষ্কদের লাগাম পড়ানো যাচ্ছে না, ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে সমাজের স্তরে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ছাত্রী-মহিলা-গৃহবধূ একা বাইরে বের হতে রীতিমতো আতঙ্কে থাকছে। গ্রাম বাংলা, মফস্বলে শুনশান এলাকাগুলিকেই টার্গেট করছে ধর্ষণকারীরা। তবে পৈশাচিক ধর্ষণের ঘটনার হাজারো উদাহরণ রয়েছে কলকাতার বুকে। গোবরডাঙা, দেগঙ্গা, মালদহ, মাটিয়া, হাঁসখালি, ময়নাগুড়ি, শান্তিনিকেতন একের পর এক ধর্ষণ হয়েই চলেছে রাজ্যে। প্রায় প্রতিসপ্তাহেই একাধিক গণধর্ষণের ঘটনা উঠে আসছে। কোথাও খুনের হুমকি, কোথাও ধর্ষণের পর হত্যা, কোথাও আবার ধর্ষণের পর দেহ দাহ করা হচ্ছে। ভয়াবহ একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। দক্ষিণ দিনাজপুরের এই ঘটনায়, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাট করতেই খুন করা হয়েছেে ওই আদিবাসী মহিলাকে। তবে ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে, এখনও তা স্পষ্ট নয়। অভিযুক্তদের দ্রুতই শনাক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন তদন্তাকারীর দল। শুক্রবার ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার -সহ অন্যান্যরা।

আরও পড়ুন, 'নোবেল পাওয়ার ক্ষমতা রাখেন মমতা', ফের বিস্ফোরক দিলীপ