সংক্ষিপ্ত
সরকারি আধিকারিকের এগিয়ে আসছেন লোকশিল্পীদের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ করতে। শুরু হয়েছে চতুর্থ দফার দুয়ারে সরকার কর্মসূচি । মূলত স্বাস্থ্য সাথী কার্ড , জব কারড, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা সহ মোট ১১ টি প্রকল্পের সুবিধা দিতে রাজ্য সরকার গ্রামে গঞ্জে অর্থাৎ নাগরিকের ধারে কাছে পৌঁছিয়ে গিয়ে শিবির অনুষ্ঠিত করছে।
লুপ্তপ্রায় লোকশিল্পীদের (Folk artist) শিল্পকলাকে আধুনিকতার মোড়কে তুলে ধরতে অভিনব পদক্ষেপ গ্রহণ করল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Administration) জেলা প্রশাসন। আর সেক্ষেত্রে 'দুয়ারে সরকার'-এর (Duare Sarkar) সুবিধা গ্রহণ করার জন্য সচেতনতা গড়ে তুলতে হাতিয়ার করা ইচ্ছে জেলার লুপ্ত প্রায় লোক শিল্প আলকাপ গানকে। গানের মাধ্যমে আলকাপ শিল্পীরা মানুষকে জানিয়ে দিচ্ছেন কি এই দুয়ারে সরকার এবং দুয়ারে সরকারের সুবিধা গুলি কি কি।
সরকারি আধিকারিকের (Government Employee) এগিয়ে আসছেন লোকশিল্পীদের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ করতে। শুরু হয়েছে চতুর্থ দফার দুয়ারে সরকার কর্মসূচি । মূলত স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, জব কার্ড, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা সহ মোট ১১ টি প্রকল্পের সুবিধা দিতে রাজ্য সরকার গ্রামে গঞ্জে অর্থাৎ নাগরিকের ধারে কাছে পৌঁছিয়ে গিয়ে শিবির অনুষ্ঠিত করছে। তা সত্ত্বেও অনেক মানুষ আছেন যাঁরা বিভিন্ন কারণে এর আগের তিনটি দফায় তাঁদের নাম নথিভুক্ত করাতে পারেননি। তাঁদের জন্য ফের আরেক দফার দুয়ারে সরকার কর্মসূচির কাজ চলছে। এর পরেও কিছু মানুষ আছেন যাঁরা এখনও দুয়ারে সরকার কর্মসূচির সুবিধা গুলি বুঝে উঠতে পারেননি, এবার তাঁদের কথা মাথায় রেখে এলাকায় এলাকায় গিয়ে লোক গানের (Folk Song) মধ্যে দিয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলার কাজ চলছে।
আরও পড়ুন- ভবিষ্যতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্যাঁচার ভাণ্ডারে পরিণত হতে পারে, বললেন সুকান্ত
আরও পড়ুন- দিলীপ-সুকান্তের সভার আগে উত্তেজনা দাঁইহাটে, দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর-মারমারি
আরও পড়ুন- ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টির জের, মুর্শিদাবাদে 'উধাও' জাতীয় সড়ক
এর ফলে সরকারের ওই উদ্যোগের কথা যেমন নাগরিক সমাজের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে তেমনই একজন মানুষও যাতে প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন সে ব্যপারে প্রচার তুঙ্গে তোলা হয়েছে। এদিকে করোনা আবহে এত দিন কাজ না পেয়ে সমস্যায় পড়েছেন লোকশিল্পীরা। রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়েছেন তাঁরা। এই প্রচারে তাঁদের কাজে লাগানোয় তাঁরাও জীবিকার সন্ধ্যান পেয়ে স্বস্তি লাভ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে লোকশিল্পী উত্তম ঘোষ, প্রাণেশ পাল, নেপাল মণ্ডলরা বলেন, “দীর্ঘ দিন ঘরে বসে ছিলাম, ফের কাজ পেয়ে নিজেদের মধ্যে বেশ আনন্দের অনুভূতি হচ্ছে।" ভগবানগোলা ভরতপুর লালগোলা সহ বিভিন্ন এলাকার সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকরা বলেন, "লোক শিল্পীদের মাধ্যমে 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্পের নানান বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে খুব সহজে পৌঁছে যাওয়ার এই ভাবনা আগামী দিনে নতুন দিকের সূচনা করবে।"