সংক্ষিপ্ত

  • ভাটপাড়ার হিংসা ঘুম কেড়ে নিয়েছিল রাজ্য়ের।
  • ক্রমাগত চড়তে থাকা হিংসা শেষমেশ প্রাণও নিয়েছে। 
  • সেইখানেই এবার পৌঁছলেন বাংলার বুদ্ধিজীবীরা।

ভাটপাড়ার হিংসা ঘুম কেড়ে নিয়েছিল রাজ্য়ের। ক্রমাগত চড়তে থাকা হিংসা শেষমেশ প্রাণও নিয়েছে। যত সময় গিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের ব্যর্থতা তত প্রকট হয়েছে। সেইখানেই এবার পৌঁছলেন বাংলার বুদ্ধিজীবীরা।

ভাটপাড়ার হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে এদিন দেখা করেন বিশিষ্টজনেরা।বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন, অভিনেতা কৌশিক সেন, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব চন্দন সেন-সহ বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি দল এদিন ভাটপাড়ায় পৌঁছন। এরা কাঁকিনাড়া ভাটপাড়া অঞ্চলের যে সমস্ত সাধারণ মানুষের ঘর বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, মারধর করা হয়েছে যাদের, তাদের সঙ্গে দেখা করেন এবং কথাবার্তা বলেন। এছাড়াও ভাটপাড়া হিংসায় মৃত দুই  রামবাবু সাউ এবং ধর্মবীর সাউ-এর বাড়িতে যান তাঁরা। তাদের সাথে কথা বলেন।

জানা গিয়েছে, এদিনের এলাকা পরিদর্শন ও কথোপকথনের ভিত্তিতে উঠে আসা এই সমস্ত বিষয়গুলি নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করবেন তাঁরা।  রিপোর্টটি মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যপাল-সহ তৃণমূল বিজেপির বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে জমা দিতে চান তাঁরা।

এদিন এই বুদ্ধিজীবীরা বলেন,  সাধারণ মানুষের বিচারের আশায় এই তৎপরতা। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে বুদ্ধিজীবীরা একজোট হয়ে সভা করেছিলেন টাউন হলে। সেই সভার নেতৃত্ব দেন শঙ্খ ঘোষ স্বয়ং। সভাস্থল থেকেই বুদ্ধিজীবীরা বলেন, সন্দেশখালি, ভাঁটপাড়ার মতো উপদ্রুত অঞ্চলগুলিতে যেতে চান তাঁরা।

আরও পড়ুনঃ শ্মশানের চেহারা ভাটপাড়ায়, সব খতিয়ে দেখছেন অমিত শাহ-র প্রতিনিধিরা 

প্রসঙ্গত এই সভা, বা বুদ্ধিজীবীদের এদিন পথে নামাই প্রমাণ বুদ্ধিজীবীরা অনেক আগেই দু'ভাগ হয়ে গিয়েছেন। পরিবর্তনপন্থী বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই এখন সরকারী পদে আসীন। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁরা বুদ্ধিজীবীদের এই মিটিং মিছিলে নেই। অন্য দিকে আজ যারা পথে নেমেছিলেন তাঁরা অনেকই বর্তমান শাসকের পক্ষে মত দিয়েছিলেন ২০১১ সালে। অথচ ভাটপাড়ায় বারবার সাধারণ মানুষ শাসক এবং শাসকের পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছে।