সংক্ষিপ্ত
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বেশ কয়েকজন কর্তাকে সঙ্গে নিয়ে ওই হাসপাতাল পরিদর্শন করেন সন্দীপ সান্যাল। পরবর্তীতে স্থানীয় বিধায়ক মহম্মদ আলির প্রতিনিধি এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে হাসপাতালের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন তিনি।
মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সীমান্ত শহর বলে পরিচিত লালগোলা। সেখানেই রয়েছে কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতাল (Krishnapur Hospital)। কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে ওই হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগ। অবশেষে তা খোলার নির্দেশ দিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (Chief Medical Officer of Health) সন্দীপ সান্যাল। আর তাঁর এই নির্দেশকে কেন্দ্র করে খুশি আবহ তৈরি হয়েছে এলাকায়।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের (Health Department) বেশ কয়েকজন কর্তাকে সঙ্গে নিয়ে ওই হাসপাতাল পরিদর্শন করেন সন্দীপ সান্যাল (Sandeep Sanyal)। পরবর্তীতে স্থানীয় বিধায়ক মহম্মদ আলির (MLA Mohammad Ali) প্রতিনিধি এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে হাসপাতালের সমস্যা (Hospital Problem) নিয়ে কথা বলেন তিনি। সবশেষে তিনি বলেন, "আমি হাসপাতালের সমস্যার কথা মন দিয়ে শুনেছি। কিছু ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাকি কাজ পর্যায়ক্রমে করা হবে।" লালগোলা থানার ভগবানগোলা-জঙ্গিপুর রাজ্য সড়কের পাশেই রয়েছে কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতাল। ওই হাসপাতালের ২০ কিমি দূরে রয়েছে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং ২৫ কিমি দূরে অবস্থিত লালবাগ মহকুমা হাসপাতাল। অথচ ওই হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার উপর নির্ভর করেন লালগোলা থানা এলাকা, ভগবানগোলা, সাগরদীঘি এবং জঙ্গিপুর থানার একটি বড় অংশের মানুষ। কিন্তু, এতদিন ধরে এখানে পরিষেবা না পেয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন- মেয়ের বিয়ের চিন্তায় ঘুম উড়েছিল, অসহায় বৃদ্ধার পাশে তৃণমূল নেতা
আরও পড়ুন- 'মমতাই প্রথম বিরোধিতা করেছিলেন', নোটবাতিলের বর্ষপূর্তিতে মনে করালেন ডেরেক
এদিকে জেলায় সদ্য কাজে যোগ দিয়েই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্যাল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি স্থানীয় বিধায়কের প্রতিধিনিদের সঙ্গেও কথা বলেন। ওই সূত্র ধরেই জানা যায় যে, হাসপাতালে চিকিৎসকরা নিজেদের স্বার্থে টানা ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করে পরপর তিনদিন ছুটি কাটান। সেক্ষেত্রে একজন চিকিৎসক আউটডোর থেকে এমারজেন্সি এমনকী রাউন্ডে যান। যার ফলে সঠিক সময় চিকিৎসা পরিষেবা মেলে না হাসপাতালে।
আরও পড়ুন- রবিবার রাতে কেঁপে উঠল সিকিম, কম্পন অনুভূত পশ্চিমবঙ্গেও
আলাদা আইসোলেশন বিল্ডিং থাকা সত্ত্বেও, সাধারণ রোগীদের ওয়ার্ডের মধ্যেই করোনা রোগীদের ভর্তি রাখা হয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও হাসপাতালে অন্তত পক্ষে একজন শিশু ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এই বিষয়ে বিধায়কের প্রতিনিধি সারজেমান শেখ বলেন, "হাসপাতালের সমস্যার কথা সিএমওএইচ মন দিয়ে শুনেছেন। কিছু বিষয় তিনি নোট করে নিয়েছেন। এবার নিশ্চয়ই হাসপাতালে সঠিকভাবে পরিষেবা পাওয়া যাবে।" এই ঘটনা প্রেক্ষিতে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, "ইতিপূর্বে বহুবার বিভিন্ন জায়গায় আবেদন-নিবেদন করেও কোনও সুফল মেলেনি। ফলে যদি সীমান্তের এই হাসপাতালে আইসোলেশন বিভাগ সঠিক ভাবে চালু হয় তাহলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হালও ফিরবে এলাকায়।"