সংক্ষিপ্ত
কৃষ্ণনগরে মা জলেশ্বরীর পুজো হয় মালোপাড়ায় (Malopara)। এখানে জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীর দিন ধুনো পোড়া হয়। এদিন এখানে যার মানত পূরণ হয় তিনি গায়ে ভিজে কাপড় জড়িয়ে সরা নিয়ে বসেন মায়ের সামনে। সরার মধ্যে আগুন জ্বালানো হয়।
শোনা যায় ১৭৫৪ সালে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র (Krishnachandra Roy) মা জগদ্ধাত্রীর পুজো শুরু করেন কৃষ্ণনগরে। সেই থেকেই আজও চলে আসছে এই পুজো। শোনা যায় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র মা জগদ্ধাত্রীর (Jagadharti Puja) স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজো শুরু করেন। ছোট বড় সব মিলিয়ে কৃষ্ণনগরে এখন শতাধিক জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। সময়ের সঙ্গে বেড়েছে সেই জগদ্ধাত্রী পুজোর সংখ্যা। প্রতিবছর গোটা কৃষ্ণনগরের মানুষ এই পুজোর জন্যই অপেক্ষা করে থাকে। অন্যান্য জায়গায় চারদিন ধরে জগদ্ধাত্রী পুজো হলেও কৃষ্ণনগরে পুজো হয় একদিনে। এটা কৃষ্ণনগরের বিশেষত্ব। নবমীর দিন শুরু হয় এখানে পুজো। তার পরের দিনই অর্থাৎ দশমীর দিন হয় মায়ের ভাসান। প্রতি বছর জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষ্যে বাইরে থেকেও বহুমানুষ কৃষ্ণনগরে এসে ভিড় জমান। একদিনের পুজোয় সেজে ওঠে গোটা শহর।
কৃষ্ণনগরে অনেকের বাড়িতেও হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) পুরনো পুজোগুলির মধ্যে একটি মা জলেশ্বরীর পুজো। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের জগদ্ধাত্রী পুজোর সমসাময়িক এই পুজো। দীর্ঘদিন ধরে একই ভাবে কৃষ্ণনগরের মা জলেশ্বরীর পুজো হয়ে আসছে। এখনে পুজোর একটি বিশেষ আকর্ষণ 'ধুনো পোড়া'। এখানে মানুষ মায়ের কাছে ধুনো দেওয়ার মানত রাখে। সেই মানত পূরণ হলেই মায়ের কাছে ধুনো দেয়।
আরও পড়ুন- Jagadhatri Puja 2021-দুশো বছরের পুরনো জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে মুর্শিদাবাদ
আরও পড়ুন- Jagadhatri Puja 2021- দেবী দুর্গার অপর রূপ, জেনে নিন পুজোর তিথি ও সময়
কৃষ্ণনগরে মা জলেশ্বরীর পুজো হয় মালোপাড়ায় (Malopara)। এখানে জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীর দিন ধুনো পোড়া হয়। এদিন এখানে যার মানত পূরণ হয় তিনি গায়ে ভিজে কাপড় জড়িয়ে সরা নিয়ে বসেন মায়ের সামনে। সরার মধ্যে আগুন জ্বালানো হয়। তারপর একজন ওই আগুনের মধ্যে ধুনো দেন। ধুনো দেওয়ায় আগুন যত ওপরে ওঠে তত মঙ্গল বলে মনে করেন সকলে। ধুনো পোড়ার সময় একভাবে সেখানে ঢাক বাজে পুজোর মতোই। এর ঠিক পরের দিনই এখানে মায়ের ভাসান হয়। তবে মালোপাড়ার মা জলেশ্বরী সাঙে যায়না। প্রতি বছর এখানে এই ধুনো পোড়া দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান। শুধু তাই নয় প্রতিবছরই এখানে ধুনো পোড়া হয়।
মা জলেশ্বরীর মতোই আরও অনেক পুরনো পুজো (Puja) রয়েছে কৃষ্ণনগরে। সেই সব পুজোতেও রয়েছে বিশেষত্ব। এখানে বুড়িমা (burima) এবং ছোটমা অনেক পুরনো পুজো। বুড়িমার পুজো কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) অন্যতম বিখ্যাত পুজো। এখানকার পুজো দেখতে প্রতিবছর বাইরে থেকে এসেও প্রচুর মানুষ ভিড় জমান। অসংখ্য মানুষ এখানকার পুজো দেখতে ভিড় জমান। এখানকার পুজোয় থাকে কড়া নিরাপত্তাও। জগদ্ধাত্রীপুজোর কটাদিন গোটা কৃষ্ণনগর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। করোনা আবহে তবে গত দু'বছর ধরে মানুষের ভিড় অনেকটাই কমেছে।