সংক্ষিপ্ত

সোশ্যাল মিডিয়ায়  কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ড ও তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টকে ট্যাগ করে বলে, ছোটদের ইতিহাস পাঠ করা জরুরি

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হার ঘর তিরঙ্গা প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন। তারই পাল্টা হিসেবে ১৩ অগাস্ট দেশের ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের নয়া স্লোগান 'মাই আইডিয়া ফর ইন্ডিয়া  অ্যাট ৭৫'। যেখানে মূলত তুলে ধরা হয়েছে ভারতের মাটির কথা 'বিচিত্রের মধ্যেই রয়েছে ঐক্য'। এই উপলক্ষ্যে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাধীনতা দিবসের আগেই সোস্যাল মিডিয়ায় ডিপি পরিবর্তন করলের তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন ডিপি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।  যা নিতে তীব্র কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিপি বিতর্ক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ডিপিটি ব্যবহার করেছেন সেটিতে মোট ৩০ জন মহান ভারত সন্তানের ছবি রয়েছে।  তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছিলেন তাঁর ডিপিয়ে দেশের ৩০ জন স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছবি রয়েছে। কিন্তু মমতার ডিসপ্লে পিকচার থেকে গায়েব স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর ছবি।  যা নিয়ে কংগ্রেস নিশানা করেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। 

কংগ্রেসের বক্তব্য
১৩ অগাস্ট ডিপি বদল করেন মমতা। আর ১৪ অগাস্ট রাজ্য কংগ্রেস নিশানা করে মমতাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায়  কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ড ও তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টকে ট্যাগ করে বলে, ছোটদের ইতিহাস পাঠ করা জরুরি। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা রাজনৈতিক প্রভুদের খুশি করার জন্য দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে দলের স্বাধীনতা দিবসের ডিপি থেকে বাদ দিয়েছে। 

বিজেপিও বাদ দিয়েছে জওহারলাল নেহেরুকে
কাকতালীয় হলেও বিজেপিও বাদ দিয়েছে জওহরলাল নেহেরুকে। এমিনিতেই বিজেপি যে জওহরলাল নেহেরুকে পছন্দ করে না তা তাদের দলীয় কর্মসূচিতেও প্রকট হয়েছে। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহ-সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্যেও স্পষ্ট হয়েছে। যা নিয়ে ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিনে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী একহাত নিয়েছিলেন বিজেপিকে। তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। অভিযোগ ছিল বর্তমান সরকার দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের যোগ্য সম্মান করে না। দেশের ইতিহাস মুছে দিতে চাইছে। 

বিজেপি ও তৃণমূলের যোগ 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে কংগ্রেস কিছুটা কঠোর। প্রথমত এই রাজ্যে দল ভাঙানোর অভিযোগ রয়েছেন তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে  মূলের মনোনীত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে কংগ্রেস ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু  উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে  কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার জন্যই তৃণমূল কংগ্রেস ভোটদান থেকে বিরত ছিল। যা নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে দূরত্ব কিছুটা হলেও বেড়েছে। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের দুই প্রভাবশালী নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারিতে কংগ্রেস নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে না দাঁড়িয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে ঘাসফুল শিবিরকে। তারপর স্বাধীনতা দিবসের ডিপি বিতর্কে কংগ্রেস ও তৃণমূলের দূরত্ব আরও বাড়িয়ে দিল বলেও মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 

বাংলাদেশে হোটেলে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বিধ্বংসী আগুন, উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক পোড়া দেহ

'পশ্চিমবঙ্গে টাকা না দিলে চাকরি পাওয়া যায় না', TET নিয়ে চড়া সুরে মন্তব্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

বস্তায় বোঝাই করা মানব শিশুর ভ্রূণ পড়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে, চাঞ্চল্য উলুবেড়িয়ায়