সংক্ষিপ্ত

গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যা নাগাদ ঝালদা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দুকে ঝালদা বাগমুন্ডি রাস্তার ওপর গোকুল নগর গ্রামের অদূরে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
 

পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে (Congress councilor murdered in Jhalda, Purulia) রোজ দেখা যাচ্ছে নিত্যনিতুন মোড়। ইতিমধ্যেই এই খুনে চক্রান্তের অভিযোগে কাঠগড়ায় উঠেছে পুলিশ আধিকারিকদের নাম। যা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য চলছে বাংলার রাজনৈতিক ময়দানে। তপন কান্দু হত্যার দিন বাগমুন্ডি ঝালদা রাস্তার ওপর যে সব পুলিশ কর্মীরা নাকা চেকিং-এর দায়িত্বে ছিলেন তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ, জানা যাচ্ছে এমনটাই। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন নাকা চেকিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন সাব ইন্সপেক্টার অনিমা অধিকারী। এছাড়াও পুরুলিয়া পুলিশ লাইনে তার সঙ্গে থাকা চার পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন কনস্টেবল ও দুজন হোমগার্ড রয়েছেন বলে খবর।
সূত্রের খবর, গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যা নাগাদ ঝালদা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দুকে ঝালদা বাগমুন্ডি রাস্তার ওপর গোকুল নগর গ্রামের অদূরে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বাংলার রাজনৈতিক ময়দানে। রাঁচির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তপন কান্দুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুলি কাণ্ডের দিন ঝালদার বাগমুন্ডির রাস্তার ওপর ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই ঝালদা থানা পুলিশের নাকা চেকিং চললেও ঘটনার খবর পেয়ে তা এড়িয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে গুলি কাণ্ডের তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে সিআইডি-কে। গঠিত হয়েছে সিট। 

আরও পড়ুন-বড় সাফল্যের মুখ দেখছে কাশ্মীর ফাইলস, শীঘ্রই বিবেকের নতুন ছবিতে দেখা যেতে পারে কঙ্গনাকে

আরও পড়ুন- স্কুল দেওয়া হবে গীতার পাঠ, দেশজোড়া বিতর্কের মধ্যে কী বলছে বিরোধীরা

তদন্ত চলাকালীন সোমবার ঝালদা থানার সাব ইন্সপেক্টর অনিমা অধিকারী সহ চার পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করে তাদের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। যদিও পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর সহ চার পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করে তদন্ত শুরু হলেও খুশি নন তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু। তিনি জানান পাঁচ জন পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করা হলেও এখনো ঝালদা থানার আই সিকে ক্লোজ করা হলনা কেন?ঘটনার দিন গুলি কাণ্ডের খবর পেয়েও আই সি ঘটনাস্থলে যাননি কেন? ঘটনার আজ আট দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ কি করছে কিছুই পরিস্কার নয়।পুলিশের প্রতি তাদের বিশ্বাস উঠে গিয়েছে। সেই কারণেই তারা জোরালো বাবে সি বি আই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে এমতাবস্থায় এবার চার পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে নতুন করে ব্যবস্থা নেওয়ায় তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। 

আরও পড়ুন- ফের উত্তপ্ত জগদ্দল, সাংসদের বাড়ির পাশেই ফের বোমাবাজির অভিযোগ