সংক্ষিপ্ত

  • আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর খুলছে জুটমিল
  • পুজোর মুখে খুশির খবর শ্রমিকদের
  • সরকার-মালিকপক্ষ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সমাধান
  • ২০১৮ সালে বন্ধ হয়েছিল ওই জুটমিলটি

উত্তম দত্ত, হুগলি-করোনা ভাইরাসের আবহে কিছুটা স্বস্তি। বেকারত্ব ঘুচতে চলেছে জুটমিলের শ্রমিকদের। দির্ঘ আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলছে চন্দননগরের গোঁন্দলপাড়া জুটমিল। কলকাতায় শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে মালিকপক্ষের বৈঠকের পর মিলল সমাধান সূত্র। জুটমিলের জট কাটাতে আগে বহুবার উদ্যোগী হয়েছিল সরকার। কিন্তু, বহুবার বৈঠক হলেও সামধান সূত্র বেরোয়নি। অবশেষে বুধবারের বৈঠকে জুটমিল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন-করোনার থাবায় মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ, কঠিন সিধান্ত নিল বেহালার দেবদারু ফটক ক্লাব

২০১৮ সালের ২৭ মে নানান সমস্যার কারনে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল চন্দননগরের গোঁন্দলপাড়া জুটমিল। প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে বেশ কয়েকদিনের জন্য খুলে গিয়েছিল। কিন্তু ভোটপর্ব মিটতেই ফের বন্ধ হয়ে যায় মিলটি। নতুন করে কর্মহীন হয়ে পড়েন জুটমিলের প্রায় চার হাজার শ্রমিক।  এরপর থেকেই নানান সমস্যায় মুখে পড়ে প্রাচীন এই জুটমিলটি। বেশ কয়েকজন শ্রমিক আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এমনকি বহু শ্রমিক পেশা পাল্টে ফেরিওয়ালার কাজ করতে শুরু করেন। জুটমিল খোলার দাবিতে বহু বিক্ষোভ, মিটিং, মিছিল হয় রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে। অত্যন্ত খারাপ অবস্থার মধ্যে দিন গুজরান করতে থাকেন শ্রমিকরা। 

আরও পড়ুন-চাপে বিশ্বভারতীর প্রাক্তণীরা, সব কাজেই প্রাক্তণীদের যোগদান বাধ্যতামূলক করল কর্তৃপক্ষ

অবশেষে, হুগলির চাঁপদানির নর্থব্রুক এবং গোঁন্দলপাড়া জুটমিল নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের উদ্য়োগে আগে বহুবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। বুধবারের গুরুত্রপূর্ণ বৈঠকে মালিকপক্ষের সঙ্গে সামাধান সূত্র বের হয়। এই অবস্থায় মালিকপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় যে, পয়লা নভেম্বর থেকে চালু হবে এই গোঁন্দলপাড়া জুটমিলটি। ৩ সেপ্টেম্বর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল চাঁপদানির নর্থব্রুক জুটমিল। মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ২০ অক্টোবর থেকে মিল চালু হবে। পাশাপাশি, পুজোর বোনাস পাবেন শ্রমিকরা। ৯ জন ছাঁটাই শ্রমিকদের মধ্যে চারজনকে কাজে ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়। পুজোর মুখে পরপর দুটি জুটমিল খুলে যাওয়া খুশি জুটমিলের শ্রমিকরা।