সংক্ষিপ্ত

রবিবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের রাস্তায় ফুল ভল্যুমে গান বাজিয়ে কালীপুজোর বিসর্জন চলল। সৌজন্যে তৃণমূল। 

সরকারি নির্দেশিকাকে (Asministration Instruction) থোড়াই কেয়ার। হাইকোর্টের (Kolkata Highcourt) নির্দেশ কার্যত উড়িয়ে বিসর্জন (Immersion) হল কালী প্রতিমার (Idol of Kali)। রবিবার রাতে(Sunday Night) উত্তর দিনাজপুরের(North Dinajpur) রায়গঞ্জ শহরের রাস্তায় ফুল ভল্যুমে গান বাজিয়ে কালীপুজোর বিসর্জন চলল। সৌজন্যে তৃণমূল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ শাসকদলের নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকা পুজো কমিটিগুলিই কোনও সরকারি নির্দেশ মানেনি। তারস্বরে গান বাজিয়ে বিসর্জনের শোভাযাত্রা গিয়েছে। 

এর সঙ্গে মদত ছিল পুলিশের বলেও অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন বিসর্জনের শোভাযাত্রাগুলি পুলিশ রীতিমতো এসকর্ট করে শহরের রাস্তা দিয়ে নিয়ে গিয়েছে। ফলে কারোর অভিযোগ জানানোর কোনও সুযোগ ছিল না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন দেওয়ার সময় উচ্চস্বরে গান বাজানোর 'অপরাধে' পুলিশ বেশ কয়েকটি ক্লাবের শোভাযাত্রার মাঝপথে ডিজে বন্ধ করে দিয়েছিলো। একমাসের মধ্যেই পুলিশের ভূমিকার এই পরিবর্তনে অবাক শহরবাসী। উল্লেখ্য করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে ও এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা বিচার করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার জানিয়েছেন, " এই রাজ্যে সরকার আইন চালু করে সাধারণ মানুষের জন্য। শাসকদলের নেতা, কর্মীদের এই আইনের আওতার বাইরে রাখা হয়। রাজ্যে সর্বত্র একই চিত্র। সরকার ডিজে নিষিদ্ধ করেছে। সাধারণ মানুষ তা মেনেছে। আইন না মানায় পুলিশ তাদের আইন মানতে বাধ্য করেছে। আবার কালীপুজোর প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় শাসকদলের বিশেষ বিশেষ ক্লাবকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তারা যথেচ্ছ ডিজে বাজিয়েছে। আর পুলিশ তাদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তার জন্য এসকর্ট করে নিয়ে গিয়েছে।"

Global Warming-২০৩০ সালের মধ্যে জলের তলায় ডুববে কলকাতা, তালিকায় বড় বড় শহরের নামও

Aryan Khan Case- মাদক মামলায় আরিয়ান খানকে ফাঁসানো হয়েছে-বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে

বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হলেও, এই ব্যাপারে পুলিশ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। উল্লেখ্য, পরিবেশবান্ধব বাজি (ECO friendly Crackers) পোড়ানোর উপরে ছাড় দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (WB Pollution Control board)। জানানো হয়েছিল, কালীপুজোর দিন রাত ৮ থেকে ১০ টার মধ্যে পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানো যাবে। তবে শুধু কালীপুজোই নয়, ছটপুজো এবং বর্ষণবরণেও একইভাবে শর্তসাপেক্ষে বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল প্রশাসন। তার জন্য নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

বলা হয়েছিল, ছটপুজোর দিন সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানো যাবে। তবে কোনও রকম শব্দবাজি এবং পরিবেশ দূষক বাজি পোড়ানো যাবে না। বড়দিন এবং বর্ষবরণেও বাজি পোড়ানোয় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল পর্ষদ। ২৫ ডিসেম্বর এবং ৩১ ডিসেম্বর রাতে ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানো যাবে বলে জানানো হয়েছিল। মূলত ক্রমবর্ধমান বেড়ে চলা দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।