সংক্ষিপ্ত
আনিশের বাবা সালেম খান ও দাদা বশির খানের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের দাবির প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। আগেই আসতেন তবে তাদের বাড়ির থেকে আনিশের বাড়ির এতটাই দূরত্ব তাই আসতে দেরি হলো বলেই জানালেন টুম্পা ও মৌসুমী।
হাওড়ার ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anis Khan) মৃত্যুর পর কেটে গেছে চার দিন। ছাত্র নেতার খুনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত গোটা রাজ্যজুড়ে। রাজ্য সরকার ছাত্রনেতার মৃত্যুর তদন্তে সিট গঠন করলেও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় রয়েছে নিহতের পরিবার। এই অবস্থায় বুধবার দুপুরে আনিশের বাড়িতে কামদুনি মৌসুমী ও টুম্পা (Tumpa And Mausumi)। সঙ্গে এলেন অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় আর বাদশা মৈত্র (Rahul Banerjee, Badsha Moitra)। দিলেন পাশে থাকার আশ্বাস।
তাঁরা আনিশের বাবা সালেম খান ও দাদা বশির খানের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের দাবির প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। আগেই আসতেন তবে তাদের বাড়ির থেকে আনিশের বাড়ির এতটাই দূরত্ব তাই আসতে দেরি হলো বলেই জানালেন টুম্পা ও মৌসুমী। কামদুনি কাণ্ডে প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছিলেন এই দুই জন। শাসক দলের থেকে অনেক হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের মধ্যেই তাদের দাবিকে সামনে রেখে লড়াই ও আন্দোলন চালিয়ে যান। তারা এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘ আন্দোলন করেছেন। প্রায় বছর ছয়েক পরে আবার এই আমতাকাণ্ডে তাদের দুজনকে একসাথে দেখা গেল। তাঁরা আনিসের পরিবারে পাশে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন।
টুম্পা ও মৌসুমী আনিসের বাবা সালেম খানের শরীর সম্বন্ধেও জিজ্ঞাসা করেন। পাশাপাশি বাদশা মৈত্র বামপন্থী ঘরানার এই অভিনেতা বরাবরই বহু মিছিল মিটিংয়ে দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। এদিন আনিশের বাড়িতে আসা রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই অভিমত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। পাশাপাশি রাহুল ও বাদশা পরিবারের লোকেদের সঙ্গে নিয়ে যেখান থেকে আনিসকে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল সেখানেও যান। তারা ঘটনাটি বোঝার চেষ্টা করেন। আনিসের পরিবার পুরো ঘটনাটি তাদের কাছে তুলে ধরে।
টুম্পা ও মৌসুমী আনিসের পরিবারের পাশে এই লড়াইতে থাকার আশ্বাস দেন সালেম খানকে। পাশাপাশি খান পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে তারা সকলে তাদের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন। ঘটনা প্রসঙ্গে বাদশা মৈত্র দাবি করেন দু একজনকে সাসপেন্ড করে কোনো লাভ নেই। বরং যারা ঘটনার দিন এসেছিল এবং যারা তাদের পাঠিয়েছিল তাদের সবার নাম প্রকাশ্যে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়াই একমাত্র সমাধান।
প্রসঙ্গত এদিন সকাল থেকে বারেবারে পুলিশ ও সিটের সদস্যরা সালেম খানের বাড়িতে এসে তাকে রাজ্য পুলিশের তদন্তের জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করেন। তবে রাজ্যের পুলিশ ও তাদের তদন্তের উপরে কোনো ভরসা নেই বলেই জানিয়ে দেন আনিশের বাবা ও ভাই।
অন্যদিকে আমতার আনিস কাণ্ডে গ্রেফতার দুজন করা হয়েছে।এরা হলেন আমতা মল্লগ্রাম কালিতলার বাসিন্দা হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও আমতা রথতলার বাসিন্দা সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্য।এবার কাশীনাথ বেরার পরিবার সি বি আই তদন্ত দাবী করলেন।তার স্ত্রী রাখী বেরা স্বামীর গ্রেফতারের কথা শুনে ভেঙে পড়েন।তিনি বলেন তার স্বামীকে ফাঁসানো হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে।সি বি আই তদন্ত করলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।আসল দোষী করা তাও পরিষ্কার হয়ে যাবে।চার বছর আগে পুলিশের চাকরি পেয়ে হাওড়া পানিয়ারার পুলিশ লাইনে যোগ দেন কাজে।সাড়ে তিন বছর এখানে পোস্টিং থাকার পর আমতা থানায় হোমগার্ড হিসেবে যোগ দেন মাস দেড়েক আগে।অন্যদিকে প্রীতম ভট্টাচার্য বছর খানেক ধরে সিভিকের কাজ করছেন আমতা থানায়।তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।