সংক্ষিপ্ত
প্রথমে ২টি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৭৭ কোটি, তারপর ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৫৭ কোটি এবং ৭০ কোটি, হাওড়ার ব্যবসায়ীর অসংখ্য ভুয়ো অ্যাকাউন্টের লেনদেনের হিসেব টেক্কা দেবে যেকোনও বড় জালিয়াতকে।
হাওড়ার শিবপুর এলাকার আবাসনের ফ্ল্যাট ও গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল নগদ আট কোটি টাকা সহ প্রচুর সোনা এবং হিরের গয়না। সেই ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে শিবপুর এলাকায় তদন্ত চালিয়েছিল কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। তদন্তে সাহায্য করেছিল শিবপুর থানার পুলিশও। তদন্তের মাধ্যমে উঠে এসেছিল মূল চক্রী শৈলেশ পাণ্ডের নাম। বহু জটিলতা কাটিয়ে এবার তদন্তকারীদের জালে ধরা পড়ল অপরাধী শৈলেশ।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রতারণা সহ রয়েছে একাধিক অভিযোগ। পুলিশের পর এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এবার হাওড়ার সেই বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনার মূল অভিযুক্ত শৈলেশ পাণ্ডেকে হাতেনাতে পাকড়াও করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দল। শৈলেশের দুই ভাই অরবিন্দ ও রোহিত পাণ্ডেকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধরা পড়েছে তাঁদের আরও এক সহযোগী। শুক্রবার ওড়িশা থেকে তিন অপরাধীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখা। তাঁদের সহযোগী অবশ্য গা ঢাকা দিয়েছিল গুজরাতে গিয়ে। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ট্রানজিট রিমান্ডে প্রত্যেক ধৃতকে নিয়ে আসা হবে কলকাতায়।
হাওড়ার ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডের গাড়ি ও ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে দুই জায়গা মিলিয়ে নগদে প্রায় আট কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল কলকাতা পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে উঠে এসেছিল আরও বড় অঙ্কের খোঁজ। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নরেন্দ্রপুর শাখার দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৭৭ কোটি টাকা লেনদেন করার হদিশ পায় পুলিশ। তারপর বিস্তারিত তদন্ত চালিয়ে আরও ১৭টি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মেলে। যেগুলির মধ্যে ৬ টি খতিয়ে দেখে নতুন করে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি তদন্তকারী শাখা। পরে বাকি অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে আরও প্রায় ৭০ কোটি টাকার লেনদেনের হদিস মিলেছে বলে লালবাজার সূত্রে দাবি। সব মিলিয়ে এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শৈলেশের জাল অ্যাকাউন্টগুলো থেকে প্রায় ২০৪ কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই বিপুল অঙ্কের টাকার তথ্য ফাঁস এবং কোটি কোটি টাকা নগদে ধরা পড়ার পর থেকেই বাংলা ছেড়ে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন জালিয়াত শৈলেশ। খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর দুই ভাই রোহিত ও অরবিন্দ পাণ্ডেরও। অবশেষে এই বিশাল প্রতারণা চক্রের সূত্র ধরে ধরে পুলিশের জালে আটকা পড়ল অপরাধীরা।
আরও পড়ুন-
১০ লক্ষ চাকরি দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আগের ২কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কী হল? কটাক্ষ বিরোধীদের
টাকার দাম কমে লাফ দিয়ে বেড়ে গেল ডলারের দর, ভারতে আরও বাড়বে জিনিসপত্রের দাম?
রাতের অন্ধকারে ১৪৪ ধারায় খালি হয়ে গেল সল্টলেকের প্রতিবাদস্থল, টেনে হিঁচড়ে তুলে দেওয়া হল টেট উত্তীর্ণদের