সংক্ষিপ্ত
১৪ অগাস্টের আর জি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এবং একজন ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করেছে কলকাতা পুলিশ।
১৪ অগাস্ট রাতে আরজিকর হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতি অভিযোগে দুজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এবং একজন ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করল কলকাতা পুলিশ। যে দুজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তারা কলকাতা পুলিশের উত্তর ডিভিশনে পোস্টিং ছিলেন। এছাড়া কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের এক ইন্সপেক্টরকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে, যে কিনা আরজি কর হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে ওই রাতে ছিলেন।
এর আগে আরজি করে যেদিন ঘটনা ঘটে সেদিন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার চন্দন গুহকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। অন্যদিকে, আরজি করে হামলার ঘটনায় সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আক্রমণ করার প্রমাণ পেল কলকাতা পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে কলকাতা পুলিশ জানতে পেরেছে হামলাকারীরা একাধিক দলে ভাগ হয়ে এসেছিল। বেহালা থেকে বাসে চেপে এসেছিল হামলাকারীদের একটি দল। উত্তর কলকাতা থেকেও কয়েকটি দল পৃথক পৃথকভাবে এসেছিল। প্রথমে তারা আরজিকর সংলগ্ন বিভিন্ন পাড়ায় জমায়েত করেছিল। এরপর যখন আরজি করে সামনে প্রতিবাদীদের ভিড় জমেছিল সেই সময় তারা হামলা ছককষে আরজি করের উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিতভাবে রওনা দিয়েছিল।
এইরকম হামলাকারী ২৬৩ জনকে ইতিমধ্যে চিহ্নিত করেছে কলকাতা পুলিশ। তাদের মধ্যে ১৫৫ জনকে লালবাজার ও টালা পার্ক থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বাকিদেরও দফায় দফায় ডাকা হবে। অন্যদিকে,আর জি কর তাণ্ডবের পর অভিযুক্তদের খুঁজতে এবার টাওয়ার ডাম্প পদ্ধতি শুরু করেছে পুলিশ। এই লোকেশনে ঘটনার দিন যাদের ফোন টাওয়ার পাওয়া গিয়েছে তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চিঠি দিয়ে তলব করছে লালবাজারের। ইতিমধ্যেই ওই হামলার ঘটনায় একাধিক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের নাগাল পেতে এবার তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। এদিকে,আরজি কর হাসপাতালের মৃত চিকিৎসকের সোদপুরের বাড়িতে যান সিবিআই অফিসাররা। ওই দলে দুজন মহিলা অফিসার ছিলেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।