সংক্ষিপ্ত

কাঞ্চন আরজি করের কান্ড নিয়ে বেশ চিন্তিত। এতটাই চিন্তিত যে টলিপাড়ার প্রথম মিছিলে তিনি যেতেই পারেননি। কারণ তিনি নাকি শহরেই ছিলেন না। তারপরে ফিরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন!

তাঁরা জনপ্রতিনিধি! জনগণের দেওয়া ভোটে বসেছেন ক্ষমতার গদিতে। তবে তারপর আর জনগণের কোনও কাজে দেখা পাওয়া যায় না বললেই চলে। তবে এই 'প্রতিনিধি' রা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন জাহির করতে বেশ সক্রিয়। এতক্ষণে হয়ত ধরে ফেলেছেন যে কার নামে কথা হচ্ছে। আঁজ্ঞে! তিনি কাঞ্চন মল্লিক। ছোটপর্দা ও বড় পর্দা মিলিয়ে বেশ জনপ্রিয় মুখ, নিঃসন্দেহে। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হিসেবে আদৌ সন্তোষজনক মার্কস পাবেন কিনা, তা নিয়ে বিস্তর ভাবনা চিন্তা করতে হবে বইকি।

এহেন কাঞ্চন আরজি করের কান্ড নিয়ে বেশ চিন্তিত। এতটাই চিন্তিত যে টলিপাড়ার প্রথম মিছিলে তিনি যেতেই পারেননি। কারণ তিনি নাকি শহরেই ছিলেন না। তারপরে ফিরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন! রবিবার বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পথে নেমেছিল গোটা টলিউড। টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ান স্টুডিয়ো থেকে আরজি কর পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। যদিও এ দিন আরজি কর সংলগ্ন এলাকায় জারি ছিল ১৬৩ ধারা। কলকাতা পুলিশের সব বিধি নিষেধ উপেক্ষা করেই পথে নামেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, অঙ্কুশ হাজরা থেকে ঋত্বিক চক্রবর্তীরা। কিন্তু এই মিছিলে কেন দেখা গেল না কাঞ্চনকে!

রাজনীতির বাধানিষেধ ছিল কি? কাঞ্চনকে এই প্রশ্ন করতেই হেসে উড়িয়ে দিলেন তিনি। পরিষ্কার জানালেন "একদমই নয়। ওই সব কারণ কিন্তু একদমই নয়। আমার ওই দিন মুম্বইয়ে একটি কাজ ছিল। সেই জন্য শহরের বাইরে ছিলাম। তাই গিয়ে উঠতে পারিনি। আর মুম্বই থেকে ফেরার পর শরীরের অবস্থাও তেমন ছিল না। তাই গিয়ে উঠতে পারিনি। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ভবিষ্যতে যদি এমন আর একটা মিছিলের আয়োজন করা হলে আমি নিশ্চয়ই যাব। এ বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই।"

মানে প্রতিবাদ জানানোর জন্য এখনও সময় আছে বলে মনে করেন তিনি! এমনটাই মনে করছেন সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজেনরা। রীতিমত কটাক্ষ করা হয়েছে এজন্য কাঞ্চনকে। আন্দোলনকারীদের দাবি কাঞ্চন এলেন কি এলেন না, তা নিয়ে কারোর মাথাব্যথা নেই।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।