সংক্ষিপ্ত
পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কোনও ভাবে উনি যদি পড়ে যেতেন তবে তা বিদ্যুতের খুঁটি বা রেল লাইনের গিয়ে পড়তেন। ঘটনাটি দেখতে পেয়েই স্থানীয় পুলিশ কর্মীরা ছুটে আসেন।
ভর দুপুরের কলকাতা। ব্যস্ত পার্কসার্কাসের ৪ নম্বর ব্রিজে তখন তুলকালাম কান্ড চলছে। এক মাঝবয়সি ব্যক্তি ব্রিজের লোহার কাঠামোয় উঠে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সোমবার। প্রায় ২০ মিনিটের চেষ্টায় নামানো হয় তাঁকে। অদ্ভুত লোভ দেখিয়ে তাকে কোনও রকমে নামায় কলকাতা পুলিশ। ওই সময় ধরে রাস্তায় ব্যাহত হয় যানচলাচলও।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি আগে টাইলসের ব্যবসা করতেন। কিন্তু সম্প্রতি আর্থিক সঙ্কটে পড়েন। এই আর্থিক সঙ্কট নিয়ে বাড়িতে অশান্তিও হতো। এই আর্থিক সমস্যার জেরে কড়েয়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির সঙ্গে সম্প্রতি তাঁর স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়েছে। ছোট মেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে চলে গিয়েছেন। বড় মেয়ের বাবার সঙ্গে থাকতেন। যদিও তিনিও এই আর্থিক সমস্যা নিয়ে জেরবার ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি মেয়েকে নিয়ে বাইকে করে সায়েন্স সিটির দিকে যাচ্ছিলেন। ব্রিজেও ওঠার মুখে হঠাত্ বাইক থামিয়ে তিনি মেয়েকে বলেন, আমার মোবাইলটা পড়ে গিয়েছে। আমি খুঁজে আনছি। এর পর তিনি হঠাত্ ব্রিজের লোহার পিলার বেয়ে উপরে উঠতে শুরু করেন। ব্রিজের একবারে মাথা চড়ে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। '
পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কোনও ভাবে উনি যদি পড়ে যেতেন তবে তা বিদ্যুতের খুঁটি বা রেল লাইনের গিয়ে পড়তেন। ঘটনাটি দেখতে পেয়েই স্থানীয় পুলিশ কর্মীরা ছুটে আসেন। তার পর দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে খবর দেওয়া হয়। নানা কিছু বলেও তাঁকে ব্রিজের মাথা থেকে নামানো যায়নি। এর পর পুলিশ তাঁকে বিরিয়ানি ও চাকরি প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাবে তিনি ব্রিজ থেকে নামতে রাজি হন। কড়েয়া থানা পুলিশ ও ইস্টগার্ডের সহযোগিতায় তাঁকে ব্রিজ থেকে নামানো সম্ভব হয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।