সংক্ষিপ্ত
সংবাদমাধ্যমের প্রতি ফের রুষ্ট পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় ফের শাসক দলের রোষের মুখে সংবাদমাধ্যম।
এবিপি আনন্দ, রিপাবলিক ও টিভি ৯ বাংলার কোনও অনুষ্ঠান, বিতর্কসভায় প্রতিনিধি পাঠাবে না তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে এই ঘোষণা করেছে রাজ্যের শাসক দল। এই সংবাদমাধ্যমগুলিকে 'বাংলা-বিরোধী' আখ্যাও দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে, ‘এবিপি আনন্দ, রিপাবলিক, টিভি ৯-এর মতো চ্যানেলগুলিতে মুখপাত্রদের না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। এই চ্যানেলগুলি ক্রমাগত বাংলা-বিরোধী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা জানি, দিল্লির জমিদারদের সন্তুষ্ট রাখার দায়বদ্ধতা আছে ওদের। চ্যানেলগুলির মালিক ও সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত ও এনফোর্সমেন্ট মামলা চলছে।’
'মিথ্যা প্রচার চলছে,' দাবি শাসক দলের
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে আমাদের আবেদন, এই চ্যানেলগুলিতে আলোচনা বা বিতর্কের সময় যদি আমাদের দলের সমর্থক বা আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে কোনও ব্যক্তিকে হাজির করা হয়, তাহলে তাঁর কথা শুনে কেউ বিপথে চালিত হবেন না। আমরা এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি, দল এই ব্যক্তিদের কোনও অধিকার দেয়নি। তাঁরা সরকারিভাবে দলের অবস্থানের বিষয়ে কিছু বলতে পারেন না।’
'বাংলা-বিরোধী চক্র,' দাবি শাসক দলের
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, 'বাংলার মানুষ বারবার এই বাংলা-বিরোধী চক্রকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলার মানুষ সবসময় মিথ্যা প্রচারের বদলে সত্য বেছে নিয়েছে।' রাজ্যের শাসক দল এর আগেও সংবাদমাধ্যমে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে 'বাংলা-বিরোধী' আখ্যা দিয়েছে। এখন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা-সহ বাংলা। এই প্রতিবাদ ও তদন্তের ঘটনা তুলে ধরছে সংবাদমাধ্যম। সেই কারণেই রাজ্যের শাসক দলের রোষদৃষ্টিতে পড়তে হচ্ছে সংবাদমাধ্যমকে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক দলের গ্রহণযোগ্যতা নেই,' অভিষেককে চিঠি দিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন অসমের রাজ্য সভাপতি
সুখেন্দু শেখর রায়ের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এবার ফরাসি বিপ্লব, বাড়ল শাসক দলের অস্বস্তি