সংক্ষিপ্ত
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা নিয়ে বেশ চাপে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এরই মধ্যে অসমেও বড় ধাক্কা খেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে দল ছাড়লেন অসমের রাজ্য সভাপতি রিপুন বোরা। তিনি রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তাঁর দাবি, অসমের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক দল মনে করেন। তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসকে নিজেদের দল বলে গ্রহণ করতে রাজি নন। দলের শীর্ষনেতৃত্বের বিরুদ্ধে অসমে দলকে শক্তিশালী করে তোলার পরামর্শ অগ্রাহ্য করার অভিযোগও এনেছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ রিপুন। তিনি অভিষেককে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন, ‘অসমে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তিশালী দল হয়ে ওঠার দারুণ সম্ভাবনা আছে। কিন্তু কিছু সমস্যার জন্য আমাদের উন্নতি থমকে গিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল, মানুষের মনে বদ্ধমূল ধারণা তৈরি হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক দল। মানুষের এই ধারণা বদলে দেওয়ার জন্য আমরা কিছু পরামর্শ দিয়েছিলাম। গত দেড় বছর ধরে আমি বারবার আপনার এবং আমাদের প্রধান মমতা দিদির সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেছি। অসম তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্যা মেটানোর জন্যই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার এই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।’
অসমে তৃণমূল নেতৃত্বের সবাই দল ছাড়লেন?
রাজনৈতিক মহলে খবর, অসমে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটিতে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সবাই দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। ফলে এই মুহূর্তে অসমে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্তিত্ব নেই। যদিও এই খবর সত্যি কি না এখনও জানা যায়নি। ২ বছরেরও বেশি সময় অসমে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি হিসেবে ছিলেন রিপুন। তিনি দলকে শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তাঁর দাবি, দলকে অসমে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য মমতাকে যে পরামর্শ দিয়েছিলেন, সেগুলি কার্যকর হয়নি। তাঁর পরামর্শ ছিল, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতৃত্বে অসম থেকে কাউকে জায়গা দিতে হবে। টালিগঞ্জে কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার বাসভবনকে হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। কোচবিহারে মধুপুর সাতরাকে কালচারাল হাব হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনও পরামর্শকেই গুরুত্ব দেয়নি বলে দাবি রিপুনের। এই কারণেই তিনি দল ছাড়লেন বলে জানিয়েছেন।
অসম নিয়ে চাপে তৃণমূল
২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে মমতা যে মন্তব্য করেছেন, তার তীব্র সমালোচনা করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতার মন্তব্যের জেরেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন রিপুন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
সুখেন্দু শেখর রায়ের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এবার ফরাসি বিপ্লব, বাড়ল শাসক দলের অস্বস্তি