সংক্ষিপ্ত

মৃতদেহের চিকিৎসা করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এক হাসপাতালের বিরুদ্ধে। মৃতার দাদা দাবি করেন, মৃত্যুর পরেও ১৩ দিন ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল তাঁর বোনকে।

আরজি কর কাণ্ডের আবহে আরও খবরে আরও এক হাসপাতালের কেলেঙ্কারি। মৃতার দাদা করলেন বিস্ফোরক দাবি। ‘মৃতদেহেরও চিকিৎসা হয়’ বলে জানালেন। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি রেনেসাঁ হাসপাতালে প্রয়াত হন তাঁর দিদি। তবে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অজুহাতে টাকা হাতিয়ে নেয় মৃতার পরিবারের তরফ থেকে। মৃতার দাদা বলেন, ‘ওরা ডেড বডির ট্রিটমেন্ট করে’।

তাঁর দাবি, রেনেসাঁ হাসপাতাল ১০ই ফেব্রুয়ারি ভোর তিনটে ২০ মিনিটে আমার বড়দিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেডিকেল রেকর্ডসে দেখাচ্ছে যে তারা রোগীর মৃত্যুর পরেও তার শীরে ইনজেকশন ও ওষুধ প্রয়োগ করেছে। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন যে তার মৃতা দিদি মূখ ও বধির ছিলেন।

মৃতার দাদা বলেন, আমি এই সব কথা ক্লিনিক্যাল কমিশনের চিকিৎসকদের সামনে তুলে ধরি। তারপরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নো নেগ্লিজেন্স সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। তবে আমার কাছে চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত নিথ ও রেকর্ড আছে।

তিনি আরও দাবি করেন যে, ইচ্ছাকৃতভাবে তার মৃতদেব ভেন্টিলেটরে রাখা হয় ১৩ দিন। জানা যায় যে, ওই মহিলাকে ১০ ফেব্রুয়ারি মৃত ঘোষণা করা হয়। এমনকী তিনি বলেন, ডাক্তার রঞ্জন কুমার শ্রীবাস্তব তাঁকে জেলে পাঠিয়েছে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে।

মৃতার দাদার দাবি, শুধু সন্দীপ ঘোষ নয়। রঞ্জন কুমার শ্রীবাস্তবের মতো অসংখ্য সন্দীপ ঘোষ লুকিয়ে আছে বিভিন্ন জায়গায়। এমন খবর আসে প্রকাশ্যে। সদ্য ভাইরাল হল এই খবর। আরও এক হাসপাতালের দুর্নীতি এল প্রকাশ্যে।