সংক্ষিপ্ত
তাঁর জন্য সেন্ট্রাল লকআপের সামনে বাড়ানো হয়েছিল কড়া নজরদারি। একটি খুন ও তোলাবাজির মামলায় গতকালই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে।
যার নামে একসময় ভাঙড়ে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খেত, তিনি এখন লালবাজারের সেন্ট্রাল লক আপে। পুলিশের হাতে গ্রেফতার সেই আরাবুল ইসলামের জেলে প্রথম রাত কাটল প্রায় না ঘুমিয়ে। তাঁর জন্য সেন্ট্রাল লকআপের সামনে বাড়ানো হয়েছিল কড়া নজরদারি। একটি খুন ও তোলাবাজির মামলায় গতকালই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সম্প্রতি এই থানা কলকাতা পুলিশের আওতায় এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তৃণমূল নেতা আরাবুলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে রয়েছে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দলবদ্ধ ভাবে আক্রমণের অভিযোগও। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের অভিযোগে আরাবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভোটের সময় এবং পরে নিরাপত্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। আশঙ্কা করেন, তিনি খুন হয়ে যেতে পারেন। এর পরে আরাবুল এবং তাঁর ছেলে হাকিমুল মোল্লার নিরাপত্তা বৃদ্ধি হয়।
পঞ্চায়েত ভোটের সময় দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় বিধানসভা এলাকা। প্রতি দিন বোমাবাজি, গোলাগুলি এবং সংঘর্ষ বেধেছে। গোলমালে জড়িয়েছে তৃণমূল এবং আইএসএফ। আইএসএফের একাধিক কর্মীর মৃত্যু হয়। নাম জড়ায় আরাবুলদের। ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকে মনোনয়নের দিন কর্মী মইনুদ্দিন মোল্লা খুন হন। পুলিশ জানিয়েছে, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৮৮, ৩৩২, ৪২৭, ৪৩৫-সহ একাধিক ইত্যাদি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
গতকাল রাতে তাঁকে ভাঙড় এলাকা থেকেই গ্রেফতার করে উত্তর কাশিপুর থানার পুলিশ ৷ অন্যদিকে, আরাবুল ইসলামের গ্রেফতারির পর ভাঙড়ে যাতে নতুন করে কোনও অশান্তি তৈরি না হয়, তার জন্য এলাকায় মোতায়ন রয়েছে র্যাফ ও বিশাল পরিমাণে পুলিশ বাহিনী ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।