সংক্ষিপ্ত

পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলে ট্যাবের টাকা পাওয়ার পর ছাত্রদের উপস্থিতি কমেছে। শিক্ষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে ট্যাবের টাকা অপব্যবহার হচ্ছে এবং ছাত্ররা স্কুলে আসা বন্ধ করে দিচ্ছে।

মমতা সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে চলছে রাজ্য বাসীর জন্য। পড়ুয়া থেকে বৃদ্ধ সকলের জন্য নিচ্ছে পদক্ষেপ। এবার সরকারের উপকারের অপব্যবহারের খবর এল প্রকাশ্যে। সদ্য সামনে এল এ বিশেষ খবর।

এক নয়া দৃশ্যের দেখা মিলল সরকারি স্কুলের। শিক্ষকদের একাংশ যদিও এটি আগেই আশঙ্কা করেছিলেন। হলও তেমনটা। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের ট্যাব কেনার টাকা পেলেন একাদশ শ্রেণির ছাত্ররা। ট্যাবের টাকা পেতেই স্কুল আসা বন্ধ করে দিল তারা। এমন হাল একটি নয় একাধিক স্কুলে।

ট্যাবের টাকা পেতেই স্কুল আসা বন্ধ করে দিচ্ছে ছাত্ররা। এমন দাবি করল একাধিক স্কুলের শিক্ষক। ছাত্রদের পড়াশোনার উন্নতির জন্য ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে সরকার। কিন্তু, তারই অপব্যবহার করছে ছাত্ররা।

দ্য খিদিরপুর অ্যাকাডেমির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ মহম্মদ সালেহিন এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কয়েক জন বলেছে, তারা কাজ করেছ। তাই ট্যাবের টাকা পেয়েই স্কুল আসা ছেড়ে দিয়েছে। ছাত্রদের বলা হয়েছে, ৭০ শতাংশ উপস্থিতি না থাকলে সেমিস্টারে বসতে দেওয়া হবে না। কিন্তু, তারা শুনছে না। তিনি জানান, প্রথম সেমিস্টারের পর দ্বিতীয় সেমিস্টারের ক্লাসে পড়ুয়ার সংখ্যা অস্বাভাবিক ভাবে কমেছে। ট্যাবের টাকা পাওয়ার পরে অনেকেই আসছে না।

বঙ্কিম ঘোষ মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা অনিতা সরকার এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, একাদশে উপস্থিতির হার কমেছে স্কুলে।

প্রধান শিক্ষকদের একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, একদিকে শিক্ষা দফতর বলছে যে স্কুল মোবাইল আনা নিষিদ্ধ। আবার শিক্ষা দফতর থেকেই ট্যাবের জন্য টাকা দিচ্ছে। অফলাইনে ক্লাস চলার সময় ট্যাবের টাকা দেওয়া জরুরি কি না, তাও শিক্ষা দফতরকে ভাবতে হবে।

এদিকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস-র ২০২৩-২৪ সালের রিপোর্ট বলছে এরাজ্যে মাধ্যমিক স্তরে স্কুল ছুটদের হার ১৭.৮৫ শতাংশ।