পুলিশের উদ্যোগে উদ্ধার হওয়া এক হাজারেরও বেশি ফোন ফেরত দেওয়া হচ্ছে প্রকৃত গ্রাহকদের।

হারানো মোবাইল ফিরছে মালিকের হাতে। ছিনতাই বা চুরি নয়, এখন আর অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে না অভিযোগ। বিধাননগর কমিশনারেট পুলিশের উদ্যোগে উদ্ধার হওয়া এক হাজারেরও বেশি ফোন ফেরত দেওয়া হচ্ছে প্রকৃত গ্রাহকদের। প্রতিদিন বাড়তে থাকা মোবাইল হারানো ও ছিনতাইয়ের ঘটনা মোকাবিলায় এই পদক্ষেপে একদিকে যেমন অপরাধ দমনে সাফল্য মিলছে, অন্যদিকে বাড়ছে সাধারণ মানুষের আস্থা। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে খবর, গত কয়েক মাসে মোট ১,০১৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে কমিশনারেটের বিভিন্ন থানা, গোয়েন্দা বিভাগ, সাইবার শাখা এবং এসওজি। 

এর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে বাগুইআটি থানার পুলিশ, যারা উদ্ধার করেছে ১৬৬টি ফোন। দ্বিতীয় স্থানে ইকোপার্ক থানার নিউটাউন এলাকা, যেখানে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১২৪টি মোবাইল। পাশাপাশি, এসওজি বাহিনী উদ্ধার করেছে ১৫৯টি ফোন। বিধাননগরের গোয়েন্দা প্রধান সোনাওয়ানে কুলদীপ সুরেশ জানিয়েছেন, কমিশনারেটের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, লেকটাউন, এয়ারপোর্ট-সহ ১৩টি থানার সম্মিলিত তল্লাশি ও প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলেই এই সাফল্য। হারানো মোবাইলের আইএমইআই নম্বর ট্র্যাক করে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার এবং ফোন উদ্ধারের কাজ সহজ হয়েছে। তিনি বলেন— “অভিযোগ জানাতে দেরি না করলে ফোন ফেরত পাওয়া সম্ভব। পুলিশের প্রতি নাগরিকদের আস্থা আরও বাড়বে।” পুলিশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নাগরিকরা যাতে ভয় না পেয়ে দ্রুত থানায় অভিযোগ করেন। কারণ যত তাড়াতাড়ি অভিযোগ জমা হবে, তত দ্রুত মোবাইল উদ্ধারের সম্ভাবনা থাকবে। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, আসন্ন উৎসবের মরসুমে শহরে ভিড় আরও বাড়বে। তাই প্রত্যেককে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, “হারানো ফোন ফেরত পাওয়া অসম্ভব নয়। সময়মতো অভিযোগ করলে ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে ফোন গ্রাহকের হাতেই ফিরে আসবে।” এদিন শুধু ফোন ফেরত দেওয়াই নয়, আরও কিছু নতুন পরিষেবার সূচনা হচ্ছে বিধাননগরে। বিধাননগর দক্ষিণ থানায় চালু হবে চাইল্ড ফ্রেন্ডলি কর্নার। কমিশনার মুকেশ উদ্বোধন করবেন পুলিশ কর্মীদের জন্য আধুনিক মানের ক্যান্টিন। পাশাপাশি ডগ স্কোয়াডের জন্য আলাদা ঘরও চালু হবে। ছিনতাই বা হারানো মোবাইল ফেরত দেওয়ার এই উদ্যোগে একদিকে যেমন অপরাধ দমন হচ্ছে, অন্যদিকে নাগরিকবান্ধব ভাবমূর্তি গড়ে তুলছে বিধাননগর পুলিশ।