সংক্ষিপ্ত

আরজি কর হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সহ একাধিক সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তাররা আগেই গণইস্তফা দিয়েছেন।

আরজি কর হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সহ একাধিক সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তাররা আগেই গণইস্তফা দিয়েছেন। এবার দিলেন কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকরা। এই আবহে বিরোধী দলনেতার মন্তব্যে কার্যত উসকানি দেখছে তৃণমূল। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন কুণাল ঘোষও।

এদিকে অনিকেত মাহাতো, অলোক ভার্মা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনশন করতে গিয়ে। আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে আমরণ অনশন চলছে। আর তার জেরেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তিনজন জুনিয়র ডাক্তার। ধর্মতলার ধর্না মঞ্চে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন আরও ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার।

আর তারই মধ্যে এবার দুর্গাপুজো কার্নিভাল বয়কট করার ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও বিরোধী দলনেতাকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। আর তাতেই রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। যা এখন বেশ চর্চার বিষয়।

অন্যদিকে, একাদশীর দিনেও অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেইসঙ্গে, সাধারণ মানুষকে একবেলা অরন্ধনের আহ্বান করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেস জোরালো কটাক্ষ করে বলেছে, মানুষই যাদের বয়কট করেছেন, তাদের বয়কটের ডাকে কী যায় আসে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ‘উৎসবে ফিরুন’। তারপর তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্যান্ডেলের সামনে ভিড়ের ছবি পোস্ট করেন। আর সেখানে লিখলেন, ‘এত মানুষের ভিড় আগে দেখিনি।’

বাগুইআটিতে বিজেপির যুব মোর্চার নেতা দেবজিৎ সাহার বাড়িতে দুর্গাপুজোয় শনিবার যোগ দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে তিনি বলেন, “এবার দুর্গাপুজো হয়েছে, উৎসব নয়। মানুষ বেরিয়েছেন কিন্তু উচ্ছ্বাস ছিল না। প্রতিবাদও হয়েছে। ঘরের উমাদেরই আমরা রক্ষা করতে পারছি না। আমি তাই বলব যে, এবার কার্নিভাল বয়কট করে আপনারা একটা বার্তা দিন। ওই ৩১ বছরের চিকিৎসকের কী দোষ ছিল? তাঁকে এভাবে সরিয়ে দেওয়া হল! দুর্গাপুজোর মধ্যে তাঁর বাবা–মা অবস্থানে বসেছেন।”

পাল্টা তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “কার্নিভাল বাংলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরার অনুষ্ঠান। সেটার উপরে এত রাগ কেন? মানুষই যাদের বয়কট করেছেন, তারা আবার বয়কটের কথা বলে কার্নিভাল বানচাল করতে চাইছে। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি বা মহারাষ্ট্রে কি সব উৎসব বন্ধ? এখানে তদন্ত করছে সিবিআই। চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। কিছু বলার থাকলে তাদের গিয়ে বলুন। সিবিআই তো শুভেন্দুর দলেরই শাখা সংগঠন।”

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।