সংক্ষিপ্ত

আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে নয়া মোড়। হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তের ভার। সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের।

আরজি কর হাসপাতাল ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে আবারও মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের। চাপ বাড়ল প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। শুক্রবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের ভার তুলে দিয়েছেন সিবিআই -এর হাতে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকার আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের জন্য যে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছিল তাও খারিজ করেদেন। তিনি শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই সিটির হাতে থাকা যাবতীয় নথি সিবিআইকে হস্তান্তর করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সিবিআইকে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যেই তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তুলে আগেই সরব হয়েছিলেন কলেজেরই ডেপুটি সুপার আখতার আলি। সন্দীপের বিরুদ্ধে আক্থিক দুর্নীতির পাশাপাশি মৃতদেহ ও বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। সঙ্গে ছিল তোলাবাজির অভিযোগও।

প্রাক্তন ডেপুটি সুপারের আবেদনের ভিত্তিকে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, একাধিক সংস্থা তদন্ত করলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে যায়। তদন্ত শেষ হতে আরও সময় লাগবে। তাই মূল ঘটনার সঙ্গেই ওই হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তও সিবিআই করবে বলে জানিয়ে দেন তিনি। আগেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। সেই মর্মে সিবিআই আজকে নিয়ে মোট আটবার সন্দীপ ঘোষকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জেরাও করেছে। তাঁর পলিগ্রাফ টেস্টও হতে পারে। সন্দীপ বারবার বয়ান বদল করছে বলেও অভিযোগ তদন্তকারী সংস্থার।

অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টরই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার দুপুরে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের কপিও আনতে বলেছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।