সংক্ষিপ্ত
সঞ্জয়ের হয়ে আইনি লড়াই করলেও কবিতা সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য, 'আমিও বাকিদের মতো নির্যাতিতার বিচার চাই।' এরপর তিনি বলেন, 'তবে আমার মতে বিচার তখনই হয়, যখন আদালতে আইনি লড়াই সম্পন্ন হয়। তার আগে না।
মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গোটা ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। আর তারপরই নানা তথ্য সামনে উঠে আসছে। জানা গিয়েছে আরজি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের হয়ে আদালতে সওয়াল জবাব করবেন বছর ৫২-র কবিতা সরকার। তিনি পরিষ্কার জানাচ্ছেন মন থেকে না হলেও, পেশার তাগিদে তাঁকে এই কাজ করতে হবে।
সঞ্জয়ের হয়ে আইনি লড়াই করলেও কবিতা সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য, 'আমিও বাকিদের মতো নির্যাতিতার বিচার চাই।' এরপর তিনি বলেন, 'তবে আমার মতে বিচার তখনই হয়, যখন আদালতে আইনি লড়াই সম্পন্ন হয়। তার আগে না। এই দেশে সবারই আইনি অধিকার আছে। সবারই নিজের রক্ষা করার অধিকার আছে। অভিযুক্তরও সেটা আছে। আর এখানে আমাকে আমার কাজ করতে হবে।'
এর আগে সঞ্জয়ের হয়ে লড়াই করার জন্যে কোনও আইনজীবী পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে বর্ষীয়ান আইনজীবী কবিতা সরকারের ঘাড়ে সেই দায়িত্ব বর্তেছে। আজ শিয়ালদা আদালতে সঞ্জয়কে পেশ করা হলে তার হয়ে যুক্তি সাজাবেন কবিতা সরকার।
সঞ্জয়ের হয়ে কোনও আইনজীবী দাঁড়াতে না চাওয়ায় বিপাকে পড়েছিল সিবিআই। তবে অবশেষে সেই আইনি জটিলতা কেটেছে। স্টেট লিগাল সার্ভিস অথরিটির আইনজীবী কবিতা সরকার দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। অকপটে তিনি স্বীকার করেছেন, এটাই তাঁর জীবনের সবচেয়ে কঠিন কেস।
এদিকে এই মামলায় সঞ্জয় রায়ের হয়ে লড়াই করা কবিতা সরকার চান না, এখনই তাঁর ছবি প্রকাশ করা হোক সংবাদমাধ্যমে। তিনি বলেন, 'বর্তমানে মানুষ খুবই রেগে আছে। আমাকে কেউ আঘাত করবে, সেই ভয় আমি পাচ্ছি না। তে এই মামলা থেকে নজর ঘুরে যেতে পারে। তাই আমি চাই এখনই যেন আমার ছবি প্রকাশ্যে না আসে।'
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।