সংক্ষিপ্ত

এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সিবিআই তদন্তের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে ঘটনার আরও তদন্ত চেয়ে আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। এদিন সেই মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের (CBI) ভূমিকা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিলো আদালত। কলকাতা

কলকাতা: গত ১৭ মার্চ আরজি কর মামলার শুনানিতে (RG Kar Junior Doctor Case) সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice Supreme Court) জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, নির্যাতিতার পরিবারের আবেদন শুনতে পারবে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ (Calcutta High Court)। সেই নির্দেশের পর সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে শুরু হয় আরজি কর মামলায় নির্যাতিতার পরিবারের আবেদনের শুনানি।

এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সিবিআই তদন্তের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে ঘটনার আরও তদন্ত চেয়ে আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। এদিন সেই মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের (CBI) ভূমিকা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিলো আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে শুরু হয় মামলার শুনানি। এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন CBI-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।

সিবিআইয়ের কাছে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের প্রশ্ন, আরজি করের তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কি শুধুই ধর্ষণ নাকি গণধর্ষণের মামলা? গণধর্ষণ হয়ে থাকলে বাকি সন্দেহভাজন কারা? এই মুহূর্তে সিবিআইয়ের তদন্ত ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে? CBI-এর কাছে জানতে চান বিচারপতি ঘোষ। সোমবার সিবিআইয়ের কাছে এই মামলার কেস ডায়রিও তলব করেন বিচারপতি। আগামী তিনদিনের মধ্যে সিবিআইকে কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৮ মার্চ।

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে আরজি কর কাণ্ডের শুনানিতে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে আইনজীবী জানান, এই মামলার পরবর্তী শুনানির তদন্ত হোক হাইকোর্টের নজরদাড়িতে। তাঁর আবেদন মামলার তদন্ত এগোনোর জন্য গঠন করা হোক উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে SIT। শুধু তাই নয়, আরজি করের (RG Kar hospital) তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হাসপাতালের নার্স, নিরাপত্তারক্ষীদের ডেকে পাঠানো হয়নি। তাঁদের কোনও রকম জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। এই ঘটনায় এবার স্টেটাস রিপোর্ট দেখার দাবি তুলেছেন নির্যাতিতার পরিবার।

অন্যদিকে নির্যাতিতার পরিবারের এই দাবির পর রাজ্যের তরফেও পাল্টাা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, কোনও মামলার তদন্ত শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কী পরবর্তী পর্যায়ে ফের তদন্ত করা যায় কিনা? সেক্ষেত্রে বিশেষ আদালত কী অনুমতি দিতে পারে? তাহলে নির্যাতিতার পরিবার কেন সেই বিশেষ আদালতে যাচ্ছেন না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, আরজি কর মামলায় পরবর্তী তদন্তের নির্দেশ যদি আদালত দেয়, আর সেক্ষেত্রে যদি আইনি অনুমতি থাকে তাহলে রাজ্যের কোনও অসুবিধা নেই।

উল্লেখ্য, আরজি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সাত মাস কেটে গেলেও এখনও অন্যান্য অভিযুক্তরা অধরা। সিবিআই এর তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট আদালতে জমা দিতে পারিনি সিবিআই। এই সমস্ত কিছুর জবাব চাইতে সোমবার CGO কমপ্লেক্স অভিযানের ডাক দিয়েছে মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার, সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম এবং নার্সেস ইউনিটি। সেন্ট্রাল পার্ক মেট্রো স্টেশন থেকে জমায়েত করে সিজিও কমপ্লেক্সে আসবেন চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরা। জমায়েতকে ঘিরে যাতে কোনও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয় তার জন্য প্রচুর পরিমাণে পুলিশ ও মহিলা পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্স চত্বরে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।