সংক্ষিপ্ত
যাদবপুরের ঘটনায় মামলাকারী আদালতে আবেদন করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি গেটে রাজ্য পুলিশ দেওয়া হোক (West Bengal Police)। স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা হোক। আর কী জানাল আদালত? জানতে বিশদে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) কোনও রাজনৈতিক নেতা বা গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়ে সেমিনার-সভা করা যাবে না। নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court)। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা হলফনামা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানোর নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয় জানা সত্ত্বেও কেন রাজনৈতিক নেতা সেখানে গিয়েছিলেন? শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুললেন প্রধান বিচারপতি।
অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের সংগঠন ওয়েপ কুপার্স সম্মেলনকে ঘিরে চলতি মাসের শুরুতেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (West Bengal Education Minister)। আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলা হয়। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালী চট্টোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলার শুনানিতে পরিষ্কার জানিয়ে দিল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও রাজনৈতিক নেতা বা গুরুত্বপূর্ণ কাউকে নিয়ে কোনও সেমিনার বা মিটিং করা যাবে না। পাশাপাশি আদালত প্রশ্ন তুলল, বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur News) পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয় জানা সত্ত্বেও কেন রাজনৈতিক নেতা সেখানে গিয়েছিলেন?
যাদবপুরের ঘটনায় মামলাকারী আদালতে আবেদন করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি গেটে রাজ্য পুলিশ দেওয়া হোক (West Bengal Police)। স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা হোক। বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে বলেন, ' যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় গুন্ডারাজ চলছে। ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্লীলতাহানির মামলা রুজু হয়েছিল। একাধিক এফআইআর দায়ের হয়। এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু বশ নাম মানা ঘোড়া দৌড়ে বেড়াচ্ছে। যা নির্দেশ দেবেন মাথা পেতে নেব, শুধু শান্তি চাই। ইউনিভার্সিটি কিছু করছে না। আমারা নিরুপায়।'
এরপর প্রধান বিচারপতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, 'বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের কোনও ক্ষমতা থাকে না। তাঁদের হাতে কোনও অস্ত্র থাকে না। কেন আপনারা রাজ্য পুলিশের সাহায্য নিতে চান না?' তার ভিতরে বিশ্ববিদ্যালয় আদালতকে জানায়, 'আমরা শিক্ষা দফতরকে এই বিষয়ে চিঠি লিখেছি। উচ্চ শিক্ষা দফতরকে টাকার বিষয়ে জানানো হয়েছে (West Bengal News)।'
সূত্রের খবর, এরপরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিশ্ববিদ্যালয় কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা হলফনামা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানোর নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করুন। রাজনৈতিক রঙ বাদ দিন। কেন এই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছিল সেটায় নজর দিন। উপাচার্য সহ বাকিদের ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। তাঁরা চাইলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হবে। প্রথমে যাঁরা ছাত্র নয়, তাঁদের বের করতে হবে।' আগামী ৩ সপ্তাহ পর আবারও এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।