সংক্ষিপ্ত
RSS News:যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি নষ্ট করছে বাম-অতি বাম ছাত্র সংগঠনগুলি? এবার দেশের অন্যতম সেরা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমালোচনা শোনা গেল আরএসএস মুখপত্র স্বস্তিকায়। হঠাৎ কেন এমন দাবি উঠল স্বস্তিকার তরফে? বিশদে জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
RSS News: একের পর এক বিতর্কিত ঘটনায় বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে দেশ তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম (Jadavpur University)। অতীত থেকে সাম্প্রতিক সময়ের একাধিক ঘটনায় চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। এই আবহে এবার RSS-এর মুখপত্র 'স্বস্তিকা'য় দেখা গেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা।
এদিকে বারবার চেষ্টা করেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি ABVP। সরাসরি না হলেও এই ছাত্র সংগঠনটি অলিখিতভাবে বিজেপি সমর্থিত। এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আরএসএসের মুখপত্রে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে সেখানকার বাম ও অতিবাম ছাত্র সংগঠনগুলির। তবে শুধু পড়ুয়াদেরই নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশকেও দায়ি করা হয়েছে আরএসএসের মুখপত্র স্বস্তিকাতে (RSS Swastika)।
বাম ছাত্রদের এই ঘাঁটির এবার কড়া সমালোচনা আরএসএসের মুখপত্র স্বস্তিকাতে। বলা হয়েছে, 'এখানে বিভিন্ন বিভাগে ঘটিয়াছে পঠন পাঠন ও গবেষনার অন্তর্জলি যাত্রা'। এর জন্য মুক্তচিন্তা সম্পন্ন ও প্রগতিশীল বাম এবং অতিবাম ছাত্র এবং অধ্যাপকদের দায়ী করা হয়েছে। মুখপত্রে বাম-অতিবামদের উদ্দেশ্যে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে র্যাগিং, যৌন নির্যাতন, মদ-গাঁজা সেবনের পুরোভাগে রয়েছে এরা। যোগ করা হয়েছে, বহু বছর ধরে ভারত বিরোধী কার্যকলাপের আঁতুর ঘর হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও এর পালটা জবাব দিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস। তিনি বলেন, ''যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিকৃত করার লক্ষ্যেই এইসব বলা হচ্ছে।''
কিছুদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির নীচে আন্দোলনরত এক ছাত্রের আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় যাদবপুরে। তার রেশও চলে বেশ কিছুদিন। ঘটনার প্রতিবাদে এসএফআইসহ বাম ছাত্র সংগঠনগুলি ছাত্র ধর্মঘটও পালন করে। দীর্ঘদিন ধরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বাম-অতিবাম ছাত্র সংগঠনগুলির শক্ত ঘাঁটি। হোক প্রতিবাদ থেকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বর্তমানে তৃণমূলের মন্ত্রীকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে যায় তত্কালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বিশ্ববিদ্যালয়ে যান বাবুলকে উদ্ধার করতে। তারপরেও থামেনি যাদবপুর নিয়ে বিতর্ক, আন্দোলন। বর্তমানে একের পর এক ঘটনায় শিক্ষা ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে এর আগে বাম ঘাঁটি দিল্লির জেএনইউকেই একইভাবে টার্গেট করা হয়েছিল। এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ঘাঁটিতে থাবা বসানোর চেষ্টা হচ্ছে। তবে তা আদেও সম্ভব হবে কীনা উত্তর দেবে সময়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।