সংক্ষিপ্ত

রাজপথে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের মাঝেই বড় অভিযোগ। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের সরানোর নাম করে তাঁদের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে।

নিয়োগ চেয়ে বুধবার ফের পথে নেমেছিল ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভে আরও একবার উত্তাল হয় তিল্লোত্তমা। রাজপথে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের মাঝেই বড় অভিযোগ। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের সরানোর নাম করে তাঁদের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনকি এক আন্দোলনকারীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠল এক মহিলা পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত পুলিশকর্মী। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে টানা হেঁচড়া চালানোর অভিযোগও ওঠে।

বুধবার একদিকে ধর্মতলা থেকে এক্সাইড চত্বরে চলছিল চাক্কা জ্যাম। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান আর একদল আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী। বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়ন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনি। আন্দোলকারীদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় এক আন্দোলনকারীর হাতে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক মহিলা পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী অবশ্য গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীদের কেবল সরানোর চেষ্টা হয়েছিল।

৯ নভেম্বর নিয়োগের দাবিতে ফের একবার পথে নামেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা। বেলা বাড়তেই কলকাতার ধর্মতলা, রবীন্দ্র সদন চত্বরে জমা হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। শুরু হয় চাক্কা জ্যাম। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে। পুলিশের প্রিজন ভ্যানের চাকার তলায় শুয়ে পড়েন বেশ কিছু চাকরি প্রার্থী। তাঁদের মুখে শুধু একটাই কথা, 'হয় নিয়োগ, নাহলে মৃত্যু।' কার্য রণক্ষেত্রের রূপ নেয় বুধবার দুপুরের কলকাতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন, কলকাতা পুলিশর ডিসি সাউথ আকাশ মাঘেরিয়া।

একদিকে উত্তাল এক্সাইড মোড়, এরইমধ্যে ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের সামনে ভিড় জমান টেট উত্তীর্ণদের একাংশ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার আর্জি জানিয়ে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। প্রত্যেকের একটাই বক্তব্য 'নিয়োগ ছাড়া জায়গা ছাড়ব না।' পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। ঘটনাস্থলেই অসুস্থ হয় পড়েন অনেকে। আহতও হন বেশ কয়েকজন। অনেককে আন্দোলনস্থল থেকেই তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, 'মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি রাখছেন না। পুলিশ অমানুষের মত ব্যবহার করছে। আমরা ২০১৪ থেকে পাশ করে বসে আছি আর কতদিন বসে থাকব? এবার নিয়োগ চাই।'

আরও পড়ুন - 

'হয় চাকরি, না হয় মৃত্যু', টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে রণক্ষেত্র ধর্মতলা থেকে এক্সাইড মোড়

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে হেরিটেজ ভবন ভাঙার কাজে স্থগিতাদেশ দিল আদালত, নজর রাখতে বলল রাজ্যকে

পঞ্চায়েত ভোটের আগে ২৬৮ জনের চাকরি ফেরাচ্ছে সরকার, সুপ্রিম-হাইকোর্ট অলিন্দে বিতর্ক