সংক্ষিপ্ত
২০২৩ সালে বিধাননগর পুরনিগমের অন্তর্গত শান্তিনগরে একটি অবৈধ বহুতল ভাঙতে নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
বেআইনি নির্মাণ নিয়ে রীতিমত কড়া কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রয়োজনে নামাতে পারে আধা সেনা (paramilitary forces)। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Amrita Sinha)। তিনি শুনানির সময় আরও বলেন,বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে ব্যর্থহয়েছে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, আদালত জানে কী করে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে হয়।
২০২৩ সালে বিধাননগর পুরনিগমের অন্তর্গত শান্তিনগরে একটি অবৈধ বহুতল ভাঙতে নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কিন্তু নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি। চাপানউতোরের মধ্যেই দায়ের করা হয়েছে আদালত অবমনানার মামলা। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন কড়া মন্তব্য করতে শোনা যায় কলকাতা হইকোর্টকে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেলকে নোটিশ দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন হবে আগামী বৃহস্পতিবার।
এই মামলার শুনানিতে পুরনিগমের তরফ থেকে আইনজীবী আগেই জানিয়েছিলেন ৩৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে সবমিলিয়ে ৩৩০টি সন্দেহজনক নির্মাণের তথ্য রয়েছে। নির্মাতাদের কাছে বৈধ নথি চাওয়া হয়। কিন্তু সেই নথি না আয়ায় চাপানউতোর তৈরি করা হয়েছিল। তারই মধ্যে এবার কড়া অবস্থান নিল আদালত।
বাঘাযতীনে বহুতল হেলে পড়ার পরই শহরে একাধিক বাড়ি হেলে পড়েছে বলে খবর আসছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছিল চাপানউতোর। কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনিতে মঙ্গলবার দুপুরে একটি চারতলা বাড়ি হেলে পড়ে। বিপজ্জনকভাবে সেই বাড়িটি এখনও একদিকে হেলে রয়েছে। ঘটনাস্থলের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই সময় বাড়িতে কোনও মানুষ ছিল না। আবাসিকরা জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগেই বাড়িটির এক দিক বসে যাচ্ছিল। কয়েক দিন আগেই বাড়িটি উঁচু করার কাজ শুরু হয়েছিল। সেই কারণে বাসিন্দারা বাড়ি খালি করে অন্যত্র গিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়িটি সমান করার আগেই একদিকে ভেঙে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ বাড়িতে জলাজমি বুজিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।