সংক্ষিপ্ত

স্থানীয়দের অভিযোগ কোনও রকম প্ল্যানিং ছাড়াই বাড়িতে তৈরি করা হয়েছিল। বহুতল নির্মাণের সময় তিন তলা বাড়ি করার অনুমতি থাকলেও বাড়িটি চার তলা তৈরি করা হয়েছিল।

 

বাঘাযতীনে ফ্ল্যাটবাড়ি কাণ্ডে সুদূর বকখালি থেকে গ্রেফতার করা হল প্রোমোটারকে। বাঘাযতীনে মঙ্গলবার হেলে পড়ে একটি চারতলা বাড়ি। এই ঘটনার খবর জানতে পেরেই পালিয়ে গিয়েছিলেন প্রোমোটার। ঘটনার দুই দিন পরে পুলিশ প্রোমোটারকে বকখালির একটি রিসর্ট থেকে গ্রেফতার করে।

বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনিতে মঙ্গলবার দুপুরে একটি চারতলা বাড়ি হেলে পড়ে। বিপজ্জনকভাবে সেই বাড়িটি এখনও একদিকে হেলে রয়েছে। ঘটনাস্থলের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই সময় বাড়িতে কোনও মানুষ ছিল না। আবাসিকরা জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগেই বাড়িটির এক দিক বসে যাচ্ছিল। কয়েক দিন আগেই বাড়িটি উঁচু করার কাজ শুরু হয়েছিল। সেই কারণে বাসিন্দারা বাড়ি খালি করে অন্যত্র গিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়িটি সমান করার আগেই একদিকে ভেঙে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ বাড়িতে জলাজমি বুজিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।

স্থানীয়দের অভিযোগ কোনও রকম প্ল্যানিং ছাড়াই বাড়িতে তৈরি করা হয়েছিল। বহুতল নির্মাণের সময় তিন তলা বাড়ি করার অনুমতি থাকলেও বাড়িটি চার তলা তৈরি করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাত থেকেই বাড়িটি পুরো ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়। কিন্তু প্রোমোটার এই সময়টা বেপাত্তা হয়ে যায়। একদিকে বাড়ি ভাঙার কাজে হাত লাগায় প্রশাসন। অন্যদিকে পলাতক প্রোমোটারকে খুঁজে বার করার কাজ শুরু হয়। গোপন সূত্রের খবর পেয়ে পুলিশ বকখালির রিসর্টে হানা দেয়। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় প্রোমোটারকে।

অন্যদিকে কলকাতা পুরসভারর মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। মেয়র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে বলেছেন, এই ঘটনায় যাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের কোনও সমস্যা না হয়। যদিও ফিরহাদ হাকিম এই ঘটনার দায় চাপিয়েছেন, পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের ওপর। তিনি বলেন, বাম আমলের পাপ তাঁরা বহন করছেন। সেই সময় এলাকার কোনও বাড়ির প্ল্যানিং থাকত না। বেআইনিভাবে সব বাড়ি তারি করা হত।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।