সংক্ষিপ্ত
২০১৩ সালে প্রেম করে বিয়ে করেছিল মনোজ কুমার গোষ ও অঞ্জলি ঘোষ। অঞ্জলির বাড়ি কলকাতার হাজরায়। মনোজের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদে।
স্ত্রীকে খোরপোশ দেওয়ার ভয়ে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল স্বামী। সেই স্বামীকে প্রায় তিন বছর পরে খুঁজে এনে দিল সিআইডি। আলিপুর আদালতের নির্দেশে বর্তমানে শ্রীঘরে রয়েছে স্বামী। পাশাপাশি আদালতে তিনটি প্রশ্নের উত্তরও দিতে হবে সেই বেপাত্তা হয়ে যাওয়া স্বামীকে। চলতি মাসেই এই মামলার শুনানি হবে বলেও জানিয়েছে আদালত।
২০১৩ সালে প্রেম করে বিয়ে করেছিল মনোজ কুমার গোষ ও অঞ্জলি ঘোষ। অঞ্জলির বাড়ি কলকাতার হাজরায়। মনোজের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদে। ২০১৫ সালে তাদের এক কন্যা সন্তানও হয়। কিন্তু দাম্পত্য কলহ ছিল নিত্য দিনের সঙ্গী। পরবর্তীকালে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে থাকেন। পাশাপাশি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও হয়। ২০১৭ সালে আলিপুর আদালতে ওঠে মামলাটি। আদালত নির্দেশ দেয় প্রথম মনোজকে স্ত্রী ও সন্তানের ভরণপোষণের জন্য খোরপোশ হিসেবে প্রতি মাসে ৫ হাজার করে টাকা দিতে হবে। পরবর্তী কালে ২০২১ সালের পরে সেই টাকার অঙ্ক হবে ৭ হাজার। যদিও মনোজ জানিয়েছেন, তিনি যা আয় করেন তাতে খোরপোশের টাকা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু আদালত খোরপোশ দেওয়ার বিষয়ে অনড় থাকে।
অঞ্জলির পক্ষে জানান হয়, আদালতের নির্দেশে প্রথম দিকে টাকা দিচ্ছিল মনোজ। কিন্তু পরবর্তীকালে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। তারপর আবারও অঞ্জলি আদালতের দ্বারস্থ হয়। একাধিকবার নোটিশ পাঠান হয় মনোদের হাসনাবাদের ঠিকানায়। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি। আদালত প্রথম পুলিশকে মনোজকে খুঁজে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ব্যর্থ হয় পুলিশ। তারপর আদালতের নির্দেশে সিআইডির মিসিং স্কোয়াড মনোজকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব পায়। তারাই তিন বছর পরে মনোজকে খুঁজে বার করে হাসনাবাদ থেকে।
সিবাইডি সূত্রের খবর, কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার বাইরে লুকিয়ে লুকিয়ে ছিল মনোজ। কখনও কখনও দিনমজুরের কাজ করত। অবশেষে হাসনাবাদ থেকেই মনোজকে খুঁজে পায়। সিআইডি সূত্রের খবর, আদালত আর আইনের ভয় মনোজ আত্মগোপন করেছিল। তার আর্থিক সঙ্গতিও তেমন ছিল না। পৈতৃক জমিতে চাষাবাদ করেই দিন কাটত। স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় জড়িয়ে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে গিয়েছিল। তাই বেপাত্তা হয়ে দিন কাটাচ্ছিল। তাতেই মনে করা হচ্ছে খোরপোশের ভয়ই পালিয়ে গিয়েছিল।
আদালতের তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিলেই সঠিক তথ্য সামনে আসবে বলেও মনে করা হচ্ছে। আদালত মনোজের কাছে জানতে চেয়েছে, কেন তিনি এত দিন ধরে নিরুদ্দেশ ছিলেন? কেন মামলায় যুক্ত হয়ে আদালতকে সহযোগিতা করেননি? কেন তিনি স্ত্রী-সন্তানের খোরপোশের দায়িত্ব নিতে চান না?
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।