সংক্ষিপ্ত
আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের সেই অভিষপ্ত রাতে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় গিয়েছিলেন চেতলার যৌনপল্লিতে। সেখানে সেখানেও তাঁর কুকর্মের সাক্ষী রেখে এসেছেন। সিবিআই সূত্রের খবর সেই রাতে যৌনপল্লি থেকে বেরিয়ে রাস্তাতেই এক মহিলাকে উত্যক্ত করেছিলেন। তেমনই খবর সিবিআই সূত্রে।
সিবিআই সূত্রের খবর সেই রাতে ধৃতের গতিবিধি জানতে একাধিকবার জেরা করা হয়েছে। মিলিয়ে দেখা হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজও। সূত্রের খবর চেতলার যৌনপল্লি থেকে বেরিয়েই ধৃত এক মহিলাকে প্রবল উত্যক্ত করেছে। সিবিআই সূত্রের খবর সেই রাতে সঞ্জয় একাধিকবার হাসপাতালে ঢুকেছে এর বেরিয়ে। তদন্তকারীদের প্রশ্ন সেই রাতে কী ধৃত অস্থির হয়ে ছিল- যা খতিয়ে দেখেছে সিবিআই-এর মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞরা। ঘটনার তদন্ত ও সংশ্লিষ্টদের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের জন্য দিল্লি থেকে আগেই এসেছে সিবিআই -এর মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞরা।
সিবিআই সূত্রের খবর, ৮ অগাস্ট রাতে ধৃত একাধিকবার হাসপাতালে ঢুকেছে আর বেরিয়েছে। রাত আটটা নাগাদ ধৃত একবার বেরিয়েছিল। সেই সময় সে চেতলার যৌনপল্লিতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে রাস্তাতেই মহিলাকে উত্যক্ত করে। ধৃতের বিরুদ্ধে মহিলাকে উত্যক্ত করার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও ধৃত এজাতীয় ঘটনা ঘটিয়েছিল। মহিলা সিভিক পুলিশের সঙ্গেও অভব্য আচরণ করেছিল।
যাইহোক ধৃতের লাই ডেটেক্টর পরীক্ষার অনুমোদন চেয়েছে সিবিআই। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। ইতিমধ্যেই সাইকোমেট্রিক পরীক্ষাও হয়েছে। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণী খুনের ঘটনার তদন্তে রীতিমত তৎপর সিবিআই। গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট কলকাতা পুলিশের থেকে নিয়ে সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। তারপর থেকেই দিল্লিতে থেকে এসেছিন বিশেষজ্ঞরা। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দলে যোগ দিলেন সীমা পাহুজা। তিনি এর আগে উত্তরপ্রদেশের হাথরাস ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত করেছিলেন। হাথরাস ধর্ষণকাণ্ড নিয়েও গোটা দেশ উত্তাল হয়েছিল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।